৯০০ ফুড ইন্সপেক্টর নেবে রাজ্য, এলডিসি নিয়োগের ফল শীঘ্রই


কলকাতা: ফুড ইন্সপেক্টর পদে ৯০০ কর্মী নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। মাধ্যমিক যোগ্যতামানের এই পরীক্ষায় ১০ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী নিজেদের সরকারি চাকরির ভাগ্য পরখ করতে বসবেন। আয়োজক সংস্থা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) কর্তাদের একাংশ এমন সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, খাদ্য দপ্তরে সাব-অর্ডিনেট ফুড অ্যান্ড সাপ্লাইস সার্ভিস, গ্রেড-৩ অধীনে এই নিয়োগ হবে। আগামী ২২ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে অনলাইনে পিএসসি'র তরফে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। চলবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। সূত্রের দাবি, চলতি বছরের শেষে কিংবা ২০১৯ সালের গোড়ায় লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করবে পিএসসি।

অন্যদিকে, রাজ্য সরকারি দপ্তরে কেরাণি কিংবা লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক (এলডিসি) নিয়োগের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা। লিখিত এবং ইন্টারভিউয়ে সফল প্রার্থীদের হঠাৎ করে টাইপিং টেস্ট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পিএসসি। সেই পর্বও চুকে গিয়েছে। গত সপ্তাহে দৃষ্টিহীনদের টাইপিং টেস্টও সম্পূর্ণ হয়েছে। সূত্রের দাবি, ফল প্রকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ সারছেন পিএসসি কর্তারা। সবকিছু ঠিক থাকতে চলতি মাসেই সফল প্রার্থীদের চূড়ান্ত প্যানেল প্রকাশ করবে রাজ্য সরকারি দপ্তরে কর্মী নিয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সাংবিধানিক সংস্থা। যদিও এই টাইপিং টেস্টকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের দাবি, পরীক্ষার আগে কমিশনের তরফে টাইপ টেস্টের কথা বলা ছিল না। স্বভাবতই একেবারে শেষ মুহূর্তের এই সিদ্ধান্তে অনেক পরীক্ষার্থীই বিপাকে পড়েছেন। যদিও পিএসসি কর্তাদের দাবি, টাইপ টেস্টে পাশ করা বাধ্যতামূলক। আগে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর এই বাধা টপকাতে হত। কিন্তু অর্থ দপ্তরের নির্দেশে এবার নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার আগেই টাইপ টেস্টে বসতে হয়েছে প্রার্থীদের। উল্লেখ্য, পিএসসি'র আগে এই পরীক্ষার আয়োজন করেছিল রাজ্য স্টাফ সিলেকশন কমিশন (এসএসসি)। ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করে এই সংস্থাকে গুটিয়ে নেয় রাজ্য সরকার। তারপর এই অসমাপ্ত পরীক্ষার শেষ করার ভার পড়ে পিএসসি'র ঘাড়ে। সেখানেও দীর্ঘকাল বিলম্বের পর প্রক্রিয়াটি গতি পায়। যদিও এক বছর হতে চললেও এখনও তার পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন। স্বভাবতই এই পরীক্ষায় বসা পরীক্ষার্থীরা প্রথম থেকে একাধিক জটিলতার মুখোমুখি হয়েছে।