আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে বাড়ছে উত্তেজনা, ভারতকে পাশে চাইছে বেজিং


আমেরিকার সঙ্গে চিনের বাণিজ্য যুদ্ধের আবহ, ভারত ও চিনের সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য সহায়ক হয়ে দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি বেজিং-এর সঙ্গে নয়াদিল্লির কথোপকথনেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে। দুই দেশের সম্পর্ক দুর্বল করতে কোনও তৃতীয় পক্ষ যাতে হাত না বাড়ায় সেই ব্যাপারেও সতর্ক করেছে তারা।

ডোকালাম সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। কিন্তু চ্রাম্প প্রশাসনের আগ্রাসী বানিজ্য নীতি ও মালয়েশিয়ায় চিনের আর্থ-রাজনৈতিক প্রকল্প ওবিওআর ব্যর্থ হওয়ার পর এখন বেজিংকে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে আগ্রহী ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে।

তবে এর মানে এই নয় যে পাকিস্তানকে দিয়ে ভারতকে চাপে রাখার খেলা থেকে সরে আসছে চিন। তবে সাম্প্রতিক অগ্রগতির ফলে নিউক্লিয়ার পাওয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে ভারতের প্রবেশ বা জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার মতো ইস্যুগুলি নিয়ে চিনকে চাপ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে ভারতের সামনে।

শুরুটা হয়েছিল ইউহানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর বৈঠকের মধ্য দিয়ে। তারপর থেকে চিন-ভারতের মধ্যে যে কটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে তাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বন্ধন এবং আগামী দিনে তাকে আরও শক্তিশালী করা ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুর শোনা গিয়েছে বেজিং-এর মুখে। দুইদেশের ঘনিষ্ঠতায় কিভাবে দুই দেশেরই বৃদ্ধি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে ততা নিয়ে বহু শব্দ খরচ ককরতে শোনা গিয়েছে।

দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করতে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নিয়ে চিনের তরফে যে সতর্কবার্তা এসেছে তার লক্ষ্য অবশ্যই আমেরিকা। এই বার্তার মধ্য দিয়েও তারা বলেছে, ঘরের কাছে যে সম্ভাবনা রয়েছে, তার থেকে ভারতের মনোযোগ যেন না সরে যায়। আমেরিকার সঙ্গে শীঘ্রই ২+২ বাঠক হওয়ার কথা ভরতের, যাতে প্রতিরক্ষা থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-আমেরিকার সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।