পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞাপন সরাল ওড়িশা পুলিশ

এই বিজ্ঞাপনেই জট।

রাস্তা কার, তা নিয়েই বিবাদে জড়াল পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা। উদয়পুর সৈকতে যাওয়ার ওই রাস্তার দখল নিয়ে মঙ্গলবার গোলমাল বাধে দিঘা-ওড়িশার সীমানা এলাকায়। রাস্তায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দফতরের বিজ্ঞাপনের একটি বোর্ডকে ওড়িশার পুলিশ ভেঙেও দেয়।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানা বরাবর মশানজোড় বাঁধে রং করা নিয়েও ঝামেলায় জড়ায় দুই রাজ্য প্রশাসন। এ রাজ্যের সরকার বাঁধের রং নীল-সাদা করতে গেলে বাধা দেয় ঝাড়খণ্ডের জেলা প্রশাসন।

দিঘা-ওড়িশার সড়ক সীমানা থেকে উদয়পুর সৈকতে যাওয়ার পিচ রাস্তাটি দুই রাজ্যের বাসিন্দারাই ব্যবহার করেন। রাস্তার পাশে কয়েক বছর আগে ওড়িশার তালসারি মোহনা থানার পুলিশ শৌচাগার বানাতে গেলে নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল রামনগর-১ ব্লক প্রশাসন। তখনই রাস্তা বিবাদের শুরু।

ওড়িশার বালেশ্বর জেলা প্রশাসনের দাবি, ওই রাস্তা তাদের। কিছু দিন আগে এ রাজ্যের সেচ দফতর রাস্তার পাশে লোহার স্ট্যান্ড বসিয়ে উন্নয়নমূলক বিজ্ঞাপনের বোর্ড লাগায়। তাতে অসন্তোষ জানিয়ে মাসখানেক আগে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে ওই বিজ্ঞাপনের বোর্ড সরিয়ে নিতে বলে বালেশ্বর জেলা প্রশাসন। বালেশ্বরের পুলিশ সুপার বি যুগল কিশোর বলেন, ''একাধিকবার ওদের বোর্ড খুলে নিতে বলেছি। কাজ না হওয়ায় এ দিন তা সরানো হয়।''

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের দাবি, উদয়পুরে যাওয়ার রাস্তাটি বরাবরই তাদের অধীনে ছিল। রাস্তা মেরামত করতে গেলে ওড়িশা প্রশাসন বাধা দিত। ২০১৬ সালে এ রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন আচমকাই ওড়িশা সরকার ওই রাস্তা মেরামত করে দখল করে নেয় বলেও অভিযোগ। রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ''জেলাশাসককে ওড়িশা প্রশাসন চিঠি দিয়েছিল কিনা জানি না। তবে সেচ দফতরের মন্ত্রী হিসেবে বিষয়টি জানা ছিল না। বিজ্ঞাপনটি বহু আগে লাগানো। যে ভাবে ওড়িশা প্রশাসন তা ভেঙেছে তা কাম্য নয়। প্রতিবেশী রাজ্য হিসেবে ওড়িশা প্রশাসনের কাছ থেকে সৌজন্য আশা করি।''