শান্তির জন্য আলোচনা চান ইমরান


প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গেই আলোচনা চান ইমরান খান। চান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে। চান শান্তি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরের দিন জাতির উদ্দেশে প্রথম বক্তৃতায় এই কথা বলছেন তিনি।

রবিবার রাতে ঘণ্টাখানেকের ওই বক্তৃতায় ভারত বা অন্য কোনও দেশের নাম করেননি ইমরান। তবে বলেছেন, ''প্রতিবেশীদের সবার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি সম্পর্কের উন্নতি চাই। তা না-হলে পাকিস্তানে শান্তি আসবে না।''
দেশের বর্তমান আর্থিক সঙ্কট, ২৮ লক্ষ কোটি টাকা দেনার বোঝার জন্য আগের সরকারকে দায়ী করে ইমরান আবার বলেছেন, অর্থের অপচয় রুখবেন তিনি। বলেছেন, ''প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ৫২৪ জন পরিচারক, ৮০টা গাড়ি, তার মধ্যে ৩৩টা বুলেটপ্রুফ! আমি দু'জন সাহায্যকারীকে রাখব, দু'টো বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকবে। বাকি গাড়িগুলো নিলাম করে টাকাটা সরকারি কোষাগারে দিয়ে দেব। আমার কোনও ব্যবসা নেই। আমার জীবনযাত্রাও সাদামাঠা।''

রবিবার হওয়া সত্ত্বেও আজ সকালের শারীরচর্চার পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইমরান। পরনে ট্র্যাকস্যুট, হাতে নোটবুক। পরে ইমরানের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয় সেই ছবি। সঙ্গে একটা লাইন— 'দেশ চালাতে হলে ছুটি বলে কিছু থাকে না।' এ দিনই ইমরানের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে তাঁর দল। এঁদের মধ্যে ১২ জনই পারভেজ় মুশারফের জমানায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। কাল শপথ নিতে পারে নতুন মন্ত্রিসভা। তেহরিক-ই-ইনসাফ মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরি জানিয়েছেন, বিভিন্ন মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকবেন ১৫ জন মন্ত্রী। ৫ জন হবেন উপদেষ্টা। তবে তাঁদের মন্ত্রীর পদমর্যাদা থাকবে। বিদেশমন্ত্রী হবেন শাহ মেহমুদ কুরেশি। সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানে আসবেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো।