দুই এ রকম সন্তান হলে শাস্তির দাবি চিনা গবেষকদের !


বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হওয়ার পথে দ্রুত এগোচ্ছে ভারত। কিন্তু এখনও চিনকে টপকে যেতে পারেনি এদেশ। কিন্তু যে গতিতে ভারত এগোচ্ছে তাতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে না, বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে চিনে নতুন করে জনসংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। আসলে জন বিস্ফোরণ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছিল চিন। এমনকী দুইয়ের বেশি সন্তান হলে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া তথা শাস্তির ব্যবস্থাও ছিল। কিন্তু এই জন্মনিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ির জন্যই আশু সংকটের মুখে কমিউনিস্ট দেশটি। সে দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যের দিকে পা বাড়াচ্ছে। আগামী এক দশকের মধ্যে কর্মক্ষমতা হারাবে চিনা জনসংখ্যার একটা বড় অংশ। তাই নতুন করে উঠছে জনসংখ্যা বাড়ানোর দাবি।

চিনের দু'টি সংস্থা সে দেশের সরকারের কাছে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দ্রুত জনসংখ্যা না বাড়াতে পারলে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে যাবে, ফলে থমকে যেতে পারে আর্থিক বৃদ্ধি। তাই দ্রুত জনসংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হোক সরকার। সেই লক্ষ্যে একটি পরামর্শও দিয়েছে সংস্থা দু'টি। তাদের পরামর্শ, ৪০ বছর বয়সের কম দম্পতিদের যদি দু'টির কম সন্তান হয় তাহলে তাদের অতিরিক্ত কর দিতে হবে। প্রাপ্ত করের টাকায় একটি তহবিল তৈরি করা হবে। যাদের দুই বা তাঁর বেশি সন্তান তাঁরা ওই তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য পাবেন। সংস্থাদুটির এই পরামর্শে রীতিমতো আলোড়ন পড়েছে চিনে। কারণ ২০১৬ সাল পর্যন্ত সে দেশে দুইয়ের বেশি সন্তান জন্ম দিলে শাস্তির মুখে পড়তে হতো দম্পতিদের। এত তাড়াতাড়ি প্রশাসন ঠিক উলটো অবস্থান নিলে অনেককেই ক্ষতিপূরণের মুখে পড়তে হবে। যদিও, সরকারের তরফে এখনও নতুন নিয়ম চালু করার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। আপাতত প্রস্তাবটি আলোচনার স্তরে রয়েছে।

Highlights
চিনে নতুন করে জনসংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে।
জনসংখ্যার একটা বড় অংশ যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যের দিকে পা বাড়াচ্ছে।
আগামী এক দশকের মধ্যে কর্মক্ষমতা হারাবে চিনের একটা বড় অংশের মানুষ।