মুঘলসরাই স্টেশনের নাম বদলে হল দীনদয়াল উপাধ্যায়


লখনউ: চেনা হয়েও অচেনা ! আজ থেকে আর মুঘলসরাই স্টেশন নয় ৷ অতি পরিচিত স্টেশন মুঘলসরাইয়ের নাম বদলে হল দীনদয়াল উপাধ্যায় ৷ আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে এই স্টেশনের নাম বদল করা হল ৷

জনসঙ্ঘের এই বিশিষ্ট নেতা প্রয়াত হন ১৯৬৮ সালে। তাঁর জন্মশতবর্ষেই দীনদয়ালের নাম পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করেছিল যোগী সরকার ৷ গত অগাস্ট মাসে মুঘলসরাইয়ের নাম পরিবর্তন করে দীনদয়াল উপাধ্যায় নামকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয় ৷ সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেও ৷ অবশেষে, একবছর পর স্টেশনের নাম পরিবর্তিত হতে চলেছে ৷

এদিন নাম পরিবর্তনের সময় স্টেশনে হাজির থাকবেন দেশের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রেলমন্ত্রী পীযূশ গোয়েলসহ বিজেপি দলের নেতা নেতৃরাও উপস্থিত থাকবেন ৷ দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ৬৩ ফুট লম্বা একটি মূর্তিরও এদিন উদ্বোধন করা হবে ৷

প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এই স্টেশনেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন দীনদয়াল উপাধ্যায় ৷ তবে, কি কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল ৷ সেটি আজও রহস্য রয়ে গিয়েছে ৷

১৮৬২ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীনে তৈরি করা হয় এই রেলস্টেশনটি ৷ এরপর আসতে আসতে এটি দেশের চতুর্থ ব্যস্ততম রেলস্টেশন হয়ে ওঠে ৷ প্রতিদিন প্রায় ২৫০টি ট্রেন যাতায়াত করে এই স্টেশন দিয়ে ৷

তবে, স্টেশনের এই নাম পরিবর্তনের পাশাপাশিই স্টেশনের একটি অংশকে গেরুয়া পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ৷ নাম পরিবর্তন থেকে গেরুয়া পতাকা সুসজ্জিত ৷ স্টেশনটি যেন তার নিজস্বতাই হারিয়ে ফেলল অনেকটা ৷ সত্যিজিত রায়ের লেখা ফেলুদার গল্পে মুঘলসরাই কিংবা শরৎচন্দ্রের লেখা গল্পে ৷ বাঙালীর সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে ছিল এই মুঘলসরাই নামটি ৷ তবে, আজ থেকে সেই নাম আর নয় ৷ এবার থেকে 'দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন' ৷