মাটিতে পোতা সারি সারি টিফিন বক্স, চক্ষু ছানাবড়া পুলিশের !


মাটিতে পোতা সারি সারি টিফিন বক্সে ল্যান্ডমাইন আতঙ্ক ছড়াল শালবনিতে। চটজলদি বম্ব স্কোয়াড ও পুলিশের তৎপর তায় টিফিন বক্সগুলি উদ্ধারের পর দেখা গেল মাটির ভিতরে লুকনো রয়েছে রাশি রাশি কার্তুজ। শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে। পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কার্তুজগুলি কীভাবে ওখানে এল।

শালবনির আনন্দনগর জঙ্গলে এদিন গরু চড়াতে গিয়েছিল কয়েকজন রাখাল। তখনই তাদের সন্দেহ হয়, মাটির নিচে কিছু পোতা রয়েছে। কৌতুহলবশত তারা মাটি খুড়তে শুরু করে। তখনই তারা দেখেন স্টিলের টিফিন কৌটো পুতে রাখা হয়েছে। একটা-আধটা নয়, সারি সারি অনেক। ল্যান্ডমাইন মনে করে আতঙ্কে তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।

চটজলদি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াড ও শালবনি থানার পুলিশ। সন্তর্পণে উদ্ধার করা হয় টিফিন বক্সগুলি। তারপর দেখা যায় প্রায় টিফিন বক্সগুলিতে রয়েছে  প্রায় ২০০টি কার্তুজ। তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন টাইপের কার্তুজ। রয়েছে ম্যাগাজিনও। জানা গিয়েছে, ৫২টি ইনসাস রাইফেলসের কার্তুজ রয়েছে টিফিন বক্সগুলিতে, রয়েছে ২৩টি ইমপ্রোভাইজড কার্তুজ, ১৮টি ৭.৬ বোরের কার্তুজ ও অন্যান্য।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, উদ্ধার হওয়া সমস্ত কার্তুজই পুরনো। নতুন কার্তুজ নয়। তদন্তকারীদের ধারণা, ২০০৯-এ মাওবাদী হামলার সময় জওয়ানদের কাছ থেকে ওই কার্তুজ ছিনতাই করা হতে পারে। ওইসব কার্তুজগুলি জঙ্গলে মাটি খুড়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে মাওবাদীরা তা আর নিয়ে যেতে পারেনি। সেই কার্তুজ এতদিন পরে নজরে এসেছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। শীঘ্রই কার্তুজ-রহস্য ভেদ করা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।