বিপাকে চন্দননগরের ‘ফেসবুক রোমিও’, ফাঁদে ফেললেন ‘প্রেমিকা’রাই


'ফেসবুক প্রেমিকের' সঙ্গে ওই ছাত্রী সাক্ষাৎস্থল ঠিক করেন চন্দননগর স্টেশন এলাকায়। আগে থেকেই প্রেমিকাকে বলা ছিল একা আসতে।


কোনও যুবতীর চোখে জল, কেউ বা ক্ষোভে ফুঁসছেন। মাঝে দাঁড়িয়ে পুলিশকর্মীদের দিকে অসহায় চোখে তাকিয়ে রয়েছে এক যুবক। আশেপাশে তাকে ঘিরে রয়েছেন অন্তত জনা ১৫ যুবতী। জানা গেল, প্রত্যেক যুবতীই ওই যুবকের 'গার্লফ্রেন্ড'। এহেন কাণ্ডে হতচকিত হয়ে যান পুলিশকর্মী।

বছর ২২-এর ওই যুবকের বাড়ি মুম্বইয়ে। সেখানেই একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশুনা করত সে। কয়েক দিন আগে ছুটিতে চন্দননগর আসে ওই যুবক। ইতিমধ্যে ওই যুবকের সঙ্গে চন্দননগর উইমেনস কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়। আলাপ গড়ায় 'প্রেম'-এ।

'ফেসবুক প্রেমিকের' সঙ্গে ওই ছাত্রী সাক্ষাৎস্থল ঠিক করেন চন্দননগর স্টেশন এলাকায়। আগে থেকেই প্রেমিকাকে বলা ছিল একা আসতে। কিন্তু নাছোড় ওই ছাত্রী কয়েকজন বান্ধবীকে নিয়েই হাজির হন ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে। পাঁচ বান্ধবীকে নিয়ে 'ফেসবুক প্রেমিকের' সঙ্গে দেখা করতে আসেন ওই যুবতী। সেখানেই ওই যুবককে দেখে প্রত্যেকে থ হয়ে যান। এর পরেই ওই যুবককে ধরে নিয়ে আসা হয় থানায়।

থানায় আসতেই ফাঁস হয় গোটা রহস্য। ওই পাঁচ যুবতীর সঙ্গেও সোশ্যাল সাইটে প্রেমের অভিনয় করছিল 'গুণধর' ওই যুবক। বিষয়টি কেউই প্রথমে বুঝতে পারেনি। কিন্তু দেখা করার সময়ে তারা বুঝতে পারে সবাইকে ঠকাচ্ছে ওই যুবক। এর পরেই ভুলিয়ে-ভালিয়ে থানায় 'প্রেমিক'-কে হাজির করেন তাঁরা।

থানায় ওই যুবকের 'কীর্তি' শুনে হতবাক হয়ে যান পুলিশেরা। ততক্ষণে হাজির হয়ে গিয়েছেন চন্দননগর উইমেনস কলেজের আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রী। এঁরাও নাকি ওই যুবকের 'ফেসবুক' প্রেমিকা। পরে জানা যায়, কয়েকদিন আগে চন্দননগর উইমেনস কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই যুবকের। তার পরেই ওই ছাত্রীর ফেসবুক প্রোফাইলে থাকা বাকি ছাত্রীদের বিভিন্ন ফেক প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে শুরু করে সে। রিকোয়েস্ট অ্যাক্টসেপ্ট করার পর শুরু হয় প্রেমের প্রস্তাব। এভাবে একে একে ওই যুবকের 'প্রেমিকার' সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০-এ।

সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে গেল চন্দননগরে গুণধর প্রেমিক। ওই যুবকের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।