"সাহায্যের হাত বাড়ান নাহলে স্বেচ্ছামৃত্যুর পারমিশন দিন মুখ্যমন্ত্রী"

আরিফুল মল্লিক
     
কেশপুর : কোথাও কোনও সাহায্য পাননি। ভুল চিকিৎসার জন্য আগেই হারিয়েছেন একটি চোখ। আর একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রায় হারিয়েই ফেলেছেন। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বিচার চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। কিন্তু ফল মেলেনি। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন বিশেষভাবে সক্ষম এক যুবক।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার গোলাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের আমুড়িয়া গ্রামের যুবক আরিফুল মল্লিক (৩২)। ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অক্ষয় দাস নামে এক চিকিৎসকের কাছে যান। আরিফুলের অভিযোগ, ওই চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার ফলে তাঁর ডান চোখ নষ্ট হয়ে যায়। 

আরিফুল বিশেষভাবে সক্ষম। তাঁর দুটো পা অচল, টিউশন করে বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী, দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার চলছিল। সংসারে রোজগেরে বলতে একমাত্র আরিফুল। শিক্ষিত বেকার এই যুবকের টিউশন পড়িয়েই সংসার চলত। কিন্তু এখন চোখ খুইয়ে প্রায় অনাহারে দিন কাটছে তাঁর। সংসার চালানোর তাগিদে সাহায্য চাইলেও মুখ ফিরিয়েছে প্রশাসন থেকে এলাকাবাসী সকলেই। 

আরিফুল বলেন, "এলাকাবাসীরা আর কতই বা দেবে ? বাবা-মা বৃদ্ধ। ছোটো ছোটো ছেলে তারাও কিছু করতে পারে না। তাই রাজনৈতিক দলের কর্মী থেকে প্রসাশনের আধিকারিকদের কাছে সাহায্যের কথা বললেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তারা। কী করব ভেবে পাচ্ছি না। শুধু বসত ভিটেটুকু নিজের।"

তাই এখন আর কিছুই করার ক্ষমতা নেই তাঁর। ফলে মাঝেমধ্যে অর্ধাহারে কাটছে দিন। কোনও পথ না মেলায় অবশেষে লিখিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তবে, প্রশাসন যদি সহযোগিতা করে তাহলে হয়তো এই ভাবনা থেকে সরে আসতে পারেন তিনি।