এমএ পাশ করেও মেলেনি গ্রুপ ডি-র চাকরি, শান্তিপুরে আত্মঘাতী যুবক


এমএ পাশ করেও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি পেতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। লাগাতার চেষ্টা সত্ত্বেও  চাকরি না জোটায় ভুগছিলেন অবসাদে। বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের ঘরেই দড়ির ফাঁসে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ মিলল সেই যুবকের।

মৃতের নাম সাধন বিশ্বাস (২৮)। বাড়ি শান্তিপুরের বাবলা পঞ্চায়েতের দক্ষিণ গোবিন্দপুর এলাকায়। তাঁর বাবা শম্ভু বিশ্বাস চাষবাস করেন। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দুই ছেলের মধ্যে সাধনই বড়। ছোট জন ভিন্ রাজ্যে থাকে। সাধন রাতে ময়ের সঙ্গে  ঘুমোতেন। কিন্তু বুধবার এক রকম জোর করেই মাকে অন্য ঘরে শুতে পাঠিয়েছিলেন। চাকরি না পাওয়ার অবসাদেই সাধন আত্মঘাতী হয়েছেন থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেছিলেন সাধন। তার পর থেকেই নানা সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের পরীক্ষাও দেন। আশা ছিল, এ বার হয়তো চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে ভেজানো দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকে মা সবিতা বিশ্বাস তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সাধনের মা সবিতা বিশ্বাস বলেন, "চাকরির পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে কয়েক দিন ধরে ও মুষড়ে ছিল। এমন কিছু করবে, ভাবতেই পারিনি।"
 
দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ, সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের খবর পেয়ে জান আমাদের রাজ্য বিভাগে।