শ্বশুরবাড়িতে ‘খুন’ জামাই


বাঁকুড়া: এক যুবককে মারধর করে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটির খুটিয়ালা গ্রামের ঘটনা৷ অভিযোগ, টাকা হাতিয়ে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে৷ সূত্রের খবর, ২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডাল থানা এলাকার দক্ষিণ খণ্ড গ্রামের বিবেকানন্দ ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় গঙ্গাজলঘাঁটি থানার খুটিয়ালা গ্রামের বিশ্বনাথ ঢাঙের মেয়ে পূর্ণিমা ঢাঙের৷

তাঁদের তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। মৃত বিবেকানন্দ ঘোষের ভাই বিপ্লব ঘোষের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর দাদাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন পূর্ণিমা৷ হাত মেলাতেন দাদার শ্বশুর বিশ্বনাথ ঢাং, শাশুড়ি ঊষা ঢাং, শ্যালক রমেশ ঢাং৷ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো লাগাতার৷ এ বিষয়ে তাঁরা আগেই অণ্ডাল থানায় মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন৷

মৃতের ভাই জানান, এই ঘটনার পর পূর্ণিমা ঢাং বাপের বাড়ি খুটিয়ালা গ্রামে থাকছিলেন৷ গত সোমবার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির তরফে ফের টাকার জন্য চাপ দিলে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে বিবেকানন্দ ঘোষ শ্বশুর বাড়ি যান। তারপর ফোনে বাড়ির লোককে তিনি জানান তাঁকে মারধর করে সব টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর বৌদি ফের ফোন করে বলেন দাদা অসুস্থ। খবর পেয়ে বিবেকানন্দর বাড়ির লোকজন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান৷ কিন্তু সেখানেই গিয়ে দেখেন আগেই মৃত্যু হয়েছে বিবেকানন্দর৷ তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

মৃত বিবেকানন্দ ঘোষের ভাই তাঁর দাদাকে খুনের অভিযোগে বৌদি পূর্ণিমা ঢাং, শ্বশুর বিশ্বনাথ ঢাং, শাশুড়ি ঊষা ঢাং, শ্যালক রমেশ ঢাং এর বিরুদ্ধে গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। অভিযুক্তরা ফেরার।