পঞ্চায়েতের রায় এখন ভবিষ্যৎ, নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে মমতার সরকার দিল মস্ত চাল


রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, এদিকে পঞ্চায়েত মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার রায় ক্রমেই পিছিয়ে চলেছে। যদিও শুনানি শেষ হয়েছে সোমবার। এক সপ্তাহের মধ্যে রায়দান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু আর কালক্ষেপ না করে যে সমস্ত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন হচ্ছে না, সেখানে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করার সিদ্ধান্তই নিল রাজ্য সরকার।

বোর্ড গঠন করা যাচ্ছে না যে সমস্ত পঞ্চায়েতে, সেখানে পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। অর্থাৎ প্রশাসক নিয়োগ করেই পঞ্চায়েত চালাবে রাজ্য। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত দফতরের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন মাসের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রায় এসে গেলে ফের পরিকল্পনা বদল ঘটাতে পারে সরকার।

রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জেলা পরিষদে দায়িত্ব পালন করবেন জেলাশাসক, পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে দায়িত্ব পালন করবেন মহকুমা শাসক আর গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে দায়িত্ব পালন করবেন বিডিওরা। তাঁদের হাতেই অর্থ খরচের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি শেষের পর রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণও বটে।

এর আগে এক-তৃতীয়াংশ আসনের ভবিষ্যৎ মামলার জটাজালে আবদ্ধ থাকায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নতুন বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটটি জেলা পরিষদ, ১২৩টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ১৬৩৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রক্রিয়া শুরু করা হল।

সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ১৬ থেকে ২৯ আগস্ট। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হবে ৩১ আগস্ট থেকে ৬ সেপ্টেম্বর। জেলা পরিষদের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সারতে হরবে ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা হয়েছিল ১৭ মে। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসন নিয়ে মামলা আটকে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। উল্লেখ্য, ৪৮ হাজার ৬৫০টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ১৬ হাজার ৮১৪টি আসনে ভোট হয়নি। পঞ্চায়েত সমিতির ৯২১৭টি আসনের মধ্যে ৩০৫৯টি আসনি ভোট হয়নি এবং জেলা পরিষদের ৮২৫টি আসনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি ২০৩টিতে। প্রায় ৩৪ শতাংশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।