‘দেশ ছাড়ার আগে মাল্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন’


বিজয় মাল্যর সঙ্গে বিজেপি নেতাদের যোগ নিয়ে তোপ দাগলেন রাহুল গাঁধী।

ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতি করে দেশত্যাগ কাণ্ডে ফের বোমা ফাটালেন রাহুল গাঁধী। বিজয় মাল্য দেশ ছাড়ার আগে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, লন্ডনে ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে দাবি করলেন কংগ্রেস সভাপতি। বিষয়টির লিখিত প্রমাণ রয়েছে দাবি করলেও কোনও বিজেপি নেতার নাম করেননি রাহুল। এ নিয়ে বিজেপিও এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
চার দিনের ব্রিটেন ও রাশিয়া সফরে রয়েছেন রাহুল গাঁধী। লন্ডন থেকে রাশিয়া উড়ে যাওয়ার আগে শনিবার সন্ধ্যায় লন্ডনে ভারতীয় সাংবাদিকদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দেন কংগ্রেস সাংসদ। সেখানেই তিনি বলেন, ''লিকার ব্যারন বিজয় মাল্য ভারত থেকে বিদেশে পালানোর আগে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই তথ্য নথিবদ্ধ আছে। কিন্তু আমি কোনও নেতার নাম বলব না।'' 

রাহুলের এই মন্তব্যের পরই ভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

১৩,৫০০ কোটির পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত নীরব মোদী ও মেহুল চোক্সীদের দেশত্যাগ নিয়েও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এ দিন তোপ দেগেছেন রাহুল। তিনি বলেন, নীরব-মেহুলদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সেই কারণেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মাল্য, নীরব, মেহুলদের মতো প্রতারকদের বিরুদ্ধে সরকার নরম মনোভাব নেওয়ায় দেশ ছেড়ে তাঁরা পালাতে পারছেন।

৯০০০ কোটির ব্যাঙ্ক ঋণ ফেরত না দিয়ে ২০১৬ সালের মার্চে দেশ ছাড়েন কিংফিশার কর্ণধার বিজয় মাল্য। তারপর থেকেই ইংল্যান্ডে রয়েছেন তিনি। লন্ডনের কাছে সিবিআই মাল্যর প্রত্যর্পণের আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু ভারতের সংশোধানাগারগুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ— এই যুক্তিতে সিবিআই-এর প্রত্যর্পণের আবেদন চ্যালেঞ্জ করে ইংল্যান্ডের আদালতে মামলা করেছেন মাল্য। জবাবে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের ১২ নম্বর ব্যারাকের ভিডিও পাঠিয়েছে সিবিআই। তাতে দেখানো হয়েছে, জেলের মধ্যেই মাল্য টিভি, ব্যক্তিগত টয়লেটের মতো সুবিধা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দিন রাহুল বলেন, বিজয় মাল্যদের মতো অপরাধীদের জন্য জেলের মধ্যে আলাদা কোনও ব্যবস্থা করা উচিত নয়। সবার জন্য একই ব্যবস্থা হওয়া উচিত।