যৌনতার জন্য ইনজেকশন, প্রতিবাদ করলে চরম অত্যাচার!


১১জন নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করল পুলিশ ৷ এদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ বছরের শিশুকন্যাও ৷ একটি মন্দির চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের ৷


হায়দরাবাদ: ১১জন নাবালিকাকে পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করল পুলিশ ৷ এদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ বছরের শিশুকন্যাও ৷ একটি মন্দির চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের ৷ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে উঠেছে এক মারাত্মক অভিযোগ ৷ দেহব্যবসায় নামানোর জন্য তাদের শরীরে এক বিশেষ সেক্স হরমোন ইনজেক্ট করা হত ৷ যাতে অল্প বয়সেই সেক্সের জন্য উপযুক্ত করে তাদেরকে বিক্রি করে দেওয়া যায় ৷ ২ লক্ষ টাকায় তাদের বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল পাচারকারীরা ৷ তদন্তের পর এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠে এসেছে ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই এজেন্ট কৃষ্ণা শঙ্কর এবং কামসানি ইয়াদাগ্রিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ যাদের মারফতই চলত এই শিশু বিক্রি ৷
তেলেঙ্গানার ইয়াদ্রি ভোঙ্গির এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ রচাকোন্ডা থানার পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে ৷ এখনও অবধি এই ঘটনায় দু'জন এজেন্ট ছাড়াও অভিযুক্ত আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গনেসাঙ্গার এলাকার একটি পতিতাপল্লীতে অভিযান চালায় তারা ৷ সেখান থেকেই আটজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে গনেসাঙ্গার এলাকার একটি পতিতাপল্লী থেকে বেশ কয়েকটি শিশুকন্যার কান্নার আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ এরপরই স্থানীয় বাসিন্দার সূত্র মারফত গনেসাঙ্গার এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন টিম এবং চাইল্ড ডেভলপমেন্ট স্কিমের আধিকারিকরা ৷ সেখান থেকেই দু'জন নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ ৷ মোট পাঁচটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় ওই বিশেষ তদন্তকারী টিমটি ৷ সব মিলিয়ে মোট ১১জনকে উদ্ধার করে পুলিশ ৷ এদের মধ্যে রয়েছে ৫ বছরের একটি শিশুকন্যা এবং সাত বছরের চারজন শিশুকন্যা ৷ ১১জন শিশুকন্যারই শারিরীক অবস্থা খুবই সংকটজনক ৷ এদের প্রত্যেকের শরীরেই দেওয়া হত বিশেষ হরমোনাল ইনজেকশন ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক চিকিৎসকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ অভিযুক্ত ড. স্বামী জানিয়েছে, হরমোনাল ইনজেকশনের প্রতিটির দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা ৷

শুধু ইনজেকশন দেওয়াই নয় ৷ ১১জন শিশুকন্যার উপরই চলত নির্মম অত্যাচার ৷ এমনকী, দু'বেলা ঠিকঠাক খাবারও দেওয়া হত না তাদের ৷ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ ৷ এদের মধ্যে রয়েছে কামসানি কল্যানি, অনিথা, সুশীলা, নরসিংহ, শ্রুতি, সারিথা, বানী, বামসী ৷ এরা প্রত্যেকেই ইয়াদ্রি ভোঙ্গির এলাকার বাসিন্দা ৷