দেশের আর্থিক উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গের অংশগ্রহণ ক্রমশ কমছে : দাবি করেন অমিত শাহ।


বাংলা থেকে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন অমিত শাহ। ১৯টি রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলেও বাংলা বিজয় ছাড়া বিজেপির উত্থান অনর্থক বলে বুঝিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে কতটা মরিয়া গেরুয়া শিবির। আর বাংলাকে 'রং দো মোহে গেরুয়া' করতে নিজেই জেলায় জেলায় সভা করার ঘোষণা করলেন অমিত। বলেন, ''আমি সব জেলায় যাব। প্রচার করব। তৃণমূলকে উত্খাত করেই ছাড়ব''।             
শ্যামাপ্রসাদের রাজ্যে দলকে ক্ষমতায় আনতে শাহ-মোদী কতটা উদগ্রীব তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর কথায়, ''১৯টি রাজ্যে আমরা ক্ষমতায় রয়েছি। তবে বাংলা দখল ছাড়া তার কোনও দাম নেই। শ্যামাপ্রসাদের রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে চাই আমরা''।    

অমিত শাহ বলেন, ''আগে এরাজ্যে ভজন, শ্রী কৃষ্ণের কীর্তন শোনা যেত। এখন বোমা ফাটার খবর আসে। রাজ্যে একের পর এক শিল্প পাততাড়ি গোটাচ্ছে। অথচ আজ এখানে বোমা কারখানা তো কাল সেখানে অস্ত্র কারখানার খবর মিলছে''। এগুলি কারা করছে? অমিতের দাবি, এগুলির পিছনে রয়েছে বাংলাদেশিদের হাত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের কারণে হিন্দু-মুসলিম-দুপক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাঁরা কাজ হারাবেন।      
 
অমিতের অভিযোগ, যুবমোর্চার সভায় যাতে লোক না আসতে পারে, সে জন্য বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। তবে তারা পারেনি। বিভিন্ন জায়গায় চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব করেও বিজেপিকে আটকানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অমিত শাহ। দলীয় কর্মীদের তাঁর নির্দেশ, ''মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে প্রচার করুন। তাঁর কথায়, ২০১৯ সালে ২২টি আসন নিশ্চিত করতে হবে। তারপর ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসব আমরা। বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুর্গাপুজোর বিসর্জন আটকাবে না, স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পুজোও হবে''।

দেশের আর্থিক উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গের অংশগ্রহণ ক্রমশ কমছে বলেও পরিসংখ্যান পেশ করে দাবি করেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ''স্বাধীনতার পরে দেশের আর্থিক উন্নয়নে ২৫ শতাংশ অংশই ছিল বাংলার। কংগ্রেস সরকার ক্ষমতা থেকে সরার আগে তা নেমে আসে   ১৩ শতাংশে। বামেরা যাওয়ার সময়ে আরও কমে হয়ে যায় ৪ শতাংশ। বিগত ৭ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের আর্থিক উন্নতিতে বাংলার যোগদান  ৩ শতাংশে নামিয়ে দিয়েছেন। বাংলা ২৫ থেকে ৩ শতাংশে চলে গেল। সিপিএম, তৃণমূল ও কংগ্রেস উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনটি দলকেই সুযোগ দিয়েছেন বাংলার মানুষ। এবার একটা সুযোগ দিন নরেন্দ্র মোদীকে। বাংলায় উন্নয়ন করব আমরা''।