কীভাবে এতো কম সময়ে ভারতের এক নম্বর ইন্টারনেট প্রোভাইডার হয়ে উঠল জিও?


বছর দুই ভারতের টেলিকম বাজারে পা রেখেছিল রিলায়েন্স জিও। তারপরে বাকিটা ইতিহাস। ভারতবাসীর স্মার্টফোন ব্যবহারের অভ্যেস বদলে দিয়েছে মুকেশ আম্বানির স্বপ্নের প্রজেক্ট। শুধুমাত্র 4G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সারা ভারতে টেলিকম জগতের কব্জা করেছে জিও।

এয়ারটেল, ভোডাফোন ও বিএসএনএল এর মতো পুরোনো অপারেটারদের তুরি মেরে উড়িয়ে গ্রাহকের স্মার্টফোনে ঢুকে পড়েছে জিও সিম কার্ড। সম্প্রতি ভোডাফোনকে টপকে ভারতের দুই নম্বর টেলিকম অপারেটারের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে জিও। এখন সামনে শুধুই এয়ারটেল।। কিন্তু কীভাবে দুই বছরের কম সময়ে এই বিশাল সাফল্যের মুখ দেখলো জিও?

ট্রাই এর রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের মোট ৪৯.৯ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে ১৮.৬৫ কোওটি জিও গ্রাহক। যা দেশের মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের ৩৭.৭ শতাংশ। নব্বই দশক থেকে ভারতের টেলিকম বাজারে থাকা এয়ারটেলের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ২৩.৫ শতাংশ। এয়ারটেলের মোট ১১.৬ কোটি গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এয়ারটেলের বেশিরভাগ গ্রাহক এখনো কোম্পানির 2G সার্ভিস ব্যবহার করেন। এই সব গ্রাহকের একটি বিরাট অংশ 2G ফিচার ফোন ব্যবহার করেন।

শিঘ্রই আইডিয়া ও ভোডাফোন যোগ হয়ে একটি নেটওয়ার্ক হয়ে যাবে। এই দুই নেটওয়ার্ক একসাথে যোগ করেও ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যায় জিওর পিছনে থাকবে। এই মুহুর্তে ভোডাফোনের ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৭.৬ কোটি আর আইডিয়ার ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪.৭ কোটি।

দিল্লি ও মুম্বাই ছাড়া সর্বত্র রয়েছে বিএসএনএল নেটওয়ার্ক। কিন্তু মাত্র ৩.১৪ কোটি বিএসএনএল গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
শুধুমাত্র কম দামে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে গ্রাহকের মন জয় করেনি জিও। শুধুমাত্র 4G নেটওয়ারর লঞ্চ জিওর সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারন। শুরুতে বিনামূল্যে সার্ভিস দিয়ে নিঃসন্দেহে গ্রাহকের মনে ছাপ ফেলেছিল জিও। কিন্তু পরে লম্বা দৌড়ে কোওম্পানির হাই স্পিড 4G নেটওয়ার্ক কোম্পানির সাফল্যের চাবিকাঠি হয়ে উঠেছে।