শ্লীলতাহানি থেকে মেয়েদের রক্ষায় ‘শকিং স্যান্ডেল’


ভোপাল: রাস্তাঘাটে মেয়েদের অনেক সময় দুষ্কৃতীদের শ্লীলতাহানির মতো ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। ওই উৎপাতের হাত থেকে মেয়েদের রক্ষা করতে মধ্যপ্রদেশের এক স্কুলছাত্রী এমন একটা ডিভাইস তৈরি করেছে, যার ব্যবহারে দুষ্কৃতীদের জোর ঝটকা লাগবে। খান্ডোয়া জেলার সরকারি বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এমনই একটি স্যান্ডেল তৈরি করেছে।

খাণ্ডোয়ার গুড়ি গ্রামের সাক্ষী পটেল প্রতিদিন তিন কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে যায়। রাস্তা প্রায়ই জনশূন্য থাকে। সে কারণে সাক্ষী ও তার সঙ্গীদের মনে সবসময়ই কোনও দুষ্কৃতীর অভব্য আচরণের আশঙ্কা থাকে। সেজন্য নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সাক্ষী শকিং শু নামে একটা ডিভাইস তৈরি করেছে সে। এই ডিভাইস থাকলে শ্লীলতাহানি করতে এলেই কোনও দুষ্কৃতীর লাগবে কারেন্টের ঝটকা। এই ডিভাইস তৈরি করতে তার সময় লেগেছে তিন মাস।

আসলে স্যান্ডেলে ব্যাটারি চালিত একটি ইউনিট লাগানো হয়েছে। স্যান্ডেলটি দেখতে একেবারেই সাধারণ। কিন্তু এর ভেতরেই লুকোনো রয়েছে ডিভাইস। সেই ডিভাইস সুইচ অন হলেই তা সক্রিয় হয়ে যাবে। যার পায়ে স্যান্ডেল থাকবে তাকে ছুঁলেই দুষ্কৃতীর লাগবে ইলেকট্রিক শক। এই ডিভাইস মোবাইলের চার্জারেও চার্জ করা যায়। সাক্ষীর কথায়, এখন এই স্যান্ডেল যদি সরকার মডেল হিসেবে ব্যবহার করে, তা মেয়েদের সুরক্ষায় খুব ভালো পদক্ষেপ হবে।

সম্প্রতি একটি বিজ্ঞান প্রদর্শণীতে সাক্ষী এই স্যান্ডেল প্রদর্শন করেছে। সবাই তার এই উদ্ভাবনের প্রশংসা করেছে। এই স্যান্ডেল তৈরির ক্ষেত্রে সাক্ষীকে তার স্কুলের প্রিন্সিপাল ও অন্যান্য ছাত্রীরা সাহায্য করেছেন। এই ডিভাইসের মডেল জাতীয় স্তরেও মনোনীত হতে পারে।

সাক্ষীর এক সহপাঠী বলেছে, রাস্তাঘাটে প্রায়ই তাকে অভব্য টিপ্পনির মুখোমুখি হতে হয়েছে। এর পাল্টা তারা কিছু করতে পারত না। তখন সাক্ষীর মাথায় এই ধরনের একটা ডিভাইস তৈরির ধারণা আসে। সেই ধারণা সফল করতে তারা সাক্ষীকে সব ধরনের সাহায্য করে। সাক্ষীর সহপাঠী আরও বলেছেন, এই মডেল নিয়ে তারা খুবই উত্সাহী। সরকার এ ব্যাপারে এগিয়ে এলে মেয়েদের সুরক্ষার জন্য তা খুব কার্যকরী হবে।