কলেজ চত্ত্বরের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল তামিলনাড়ু সরকার !


তিরুঅনন্তপুরম: কলেজ চত্ত্বরের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারে রাশ টানল রাজ্য৷ দ্য ডিরেক্টরেট অফ কলেজিয়েট এডুকেশন বা ডিসিই জানিয়ে দিয়েছে কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগে তো বটেই, অনান্যা শাখার কলেজগুলিতেও প্রযোজ্য হবে একই নিষেধাজ্ঞা৷

তামিলনাড়ু সরকারের অধীন ডিসিই এক নির্দেশিকায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ সংস্থার প্রধান আর সারুমাথি অধীনস্থ সবকটি কলেজে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি সব কলেজকেই এই নির্দেশিকা পালন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে৷

গত মাসেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শিক্ষাদফতরের বৈঠকে৷ উপস্থিত ছিলেন উচ্চ শিক্ষা দফতরের সচিব (ইন-চার্জ) প্রতাপ যাদব৷ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা৷ এই বৈঠকেই মোবাইল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

কি কারণ আচমকা এই সিদ্ধান্ত? আধিকারিকরা এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, কো এড কলেজগুলিতে মোবাইলের অপব্যবহার হচ্ছে৷ ছাত্রীদের অজান্তেই তাদের ছবি তুলছে ছাত্ররা, এমন অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে৷ এমনকী মোবাইলের ফলে নকল করার প্রবণতা বেড়েছে৷ টুকলির ঘটনাও নজরে আসছে, যার সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷

তবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে একটি ইস্যু ঘিরে৷ রাজ্যের আইআইটিগুলিতে কিন্তু এই নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে৷ এই প্রসঙ্গে শিক্ষা দফতরের মত, ওই সব নামকরা কলেজগুলির পড়ুয়ারা মোবাইলের সঠিক ব্যবহার জানে৷ প্রশ্ন উঠছে এখানেই, যে এই বৈষম্য কেন?

২০০৫ সালে আন্না বিশ্ববিদ্যালয়েও একই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ পড়ুয়াদের বিক্ষোভে এই নিষেধাজ্ঞা শুধু ক্লাসরুমেই সীমাবদ্ধ থাকে৷ কলেজগুলি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে৷ তবে শিক্ষকদের একাংশ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে৷ এই নিষেধাজ্ঞাকে অবাস্তব ও কঠোর বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে অধ্যাপকদের পক্ষ থেকে৷ তাদের বক্তব্য মোবাইল ফোন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ সেখানে ছাত্র ছাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাধা দেওয়ার অর্থ একটা রক্ষণশীল পরিবেশে তাদের শিক্ষা দেওয়া, যা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়৷