পাড়ার ভিতরে মধুচক্রের পর্দা ফাঁস সিউড়িতে


সিউড়ি:পাড়ার ভিতর মধুচক্র চালাতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পরল দুই মহিলা এবং আরও দুই ব্যক্তি। যাদের মধ্যে একজন সিউড়ির একটি প্রতিষ্ঠিত ওষুধের দোকানের মালিক।

একইসঙ্গে বাড়ির ভিতর বহিরাগত ছেলে মেয়েদের নিয়ে এসে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠল অর্চনা দাস নামে এক মহিলা ও তার ছেলে সৌরভ দাসের বিরুদ্ধে। সিউড়ি থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

সিউড়ির হাটজন বাজার এলাকায় বুধবার রাতে অর্চনা দাসের বাড়িতে চড়াও হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ নিজের বাড়িতে বহিরাগত ছেলে মেয়েদের নিয়ে দেহ ব্যবসা চালাতো ওই মহিলা ও তার ছেলে। রাতেই ওই বাড়ি থেকে সিউড়ির এক লটারির দোকানের মালিক ও এক মহিলাকে ধরে গণপ্রহার দেয় বাসিন্দারা।

সিউড়ি থানার পুলিশ তাদের সেই স্থান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে । রাত্রে ধরার পর ফের বৃহস্পতিবার সকালে শহরের প্রতিষ্ঠিত ওষুধ ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার তার নিজস্ব দোকান বন্ধ থাকায় কলকাতা যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ওই বাড়িতে ঘরের পরিচারিকাকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। বাসিন্দারা তাকেও ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পাড়ার মধ্যে এই মধুচক্র চালানোয় সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুবোধ পাল। তিনি বলেন, এর আগেও বেশ কয়েকবার অর্চনাদেবীকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু দিন দিন ততই বেপড়োয়া হয়ে উঠছিলেন যে কারুর কথায় শুনছিলেন না।

সুবোধবাবুর দাবি সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে স্কুল পড়ুয়া থেকে গৃহবধুরা ওই বাড়িতে গিয়ে সময় কাটিয়ে ফেরেন।হাতেনাতে ধরা পড়ার পর এলাকার মহিলাদের দাবি করেন অর্চনাকে আমাদের পাড়াতে আর থাকলে দেওয়া হবে না। তাতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার হওয়া মহিলাদের মধ্যে কলকাতার রাসবিহারী এভিনিঊ থেকে আসা এক মহিলাও আছেন।