গৌতম গম্ভীর লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী?


বাইশ গজে নয়, রাজনীতির ময়দানে কি নতুন স্টান্স নেবেন গৌতম গম্ভীর?


মহম্মদ আজহারউদ্দিন, নভজ্যোত্ সিং সিধুদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে গৌতম গম্ভীরও কি আসতে চলেছেন রাজনীতিতে? এমন খবর কিন্তু ভাসছে রাজনীতির বাতাসে। দৈনিক জাগরণ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুসারে, ভারতীয় জনতা পার্টির টিকিটে নয়াদিল্লিতে তাঁকে লড়তেও দেখা যেতে পারে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে।

দিল্লিতে অনেকদিন ধরেই ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিজেপি। সেজন্যই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ওপেনারকে রাজনীতিতে এনে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চাইছে তারা। একইসঙ্গে দিল্লিতে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনাও রয়েছে।

অতীতে অনেক ক্রিকেটারই পা রেখেছেন রাজনীতির অলিন্দে। এই তালিকায় আজহার, সিধু ছাড়াও রয়েছেন মহম্মদ কাইফ, প্রভীন কুমার, বিনোদ কাম্বলি থেকে মনসুর আলি খান পটোডী। প্রতিবেশী পাকিস্তানে সদ্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান।

বাস্তবে, আন্তর্জাতিক কেরিয়ার কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে গম্ভীরের। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আহমেদাবাদে শেষবার তাঁকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের জার্সিতে দেখা গিয়েছিল। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ধরমশালায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষবার একদিনের ক্রিকেটে খেলেছিলেন। শেষ টেস্ট ২০১৬ সালের নভেম্বরে রাজকোটে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ৩৬ বছর বয়সি ৫৮ টেস্টে ৪,১৫৪ রান করেছেন। ১৪৭ ওয়ানডে ম্যাচে রয়েছে ৫,২৩৮ রান। ৩৭ টি-টোয়েন্টিতে রয়েছে ৯৩২ রান। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে বড় অবদান ছিল তাঁর। দুই ফাইনালেই ব্যাট-হাতে নির্ভরতা দিয়েছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে দু'বার চ্যাম্পিয়নের ট্রফিও হাতে উঠেছে গম্ভীরের।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই জাতীয়তাবাদী মন্তব্য করেন তিনি। বিজেপি সেজন্যই মনে করছে, বাঁ-হাতি ওপেনারের ভাবমূর্তি দলের কাজে আসবে।