সরকারি খরচ কমানোর বুলি আওড়ে নিজে ঘুরছেন হেলিকপ্টারে, জোর বিতর্কে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

আমজনতার টাকা খোলামকুচির মতো ওড়ানো যাবে না। দেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে বের করতে গেলে জনপ্রতিনিধিদের বুঝেশুনে টাকা খরচ করতে হবে। সাধারণ জীবনযাপন করতে হবে। তিনিও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রাপ্য বিলাসবহুল বাংলোয় থাকতে অস্বীকার করেন। সাড়ে পাঁচশো জন তদারকের বদলে মাত্র ২ জন সহায়ক রাখবেন বলেও জানিয়ে দেন। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে, নিজের বাংলো থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ইমরান যাতায়াত করছেন হেলিকপ্টারে। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে পাকিস্তানে।

পাকিস্তানের ডন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদর এই সুবিধা ভোগ করছেন। যদিও সরকারি দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টারে চড়া নিয়ে নিজেদের মত ব্যক্ত করেছে।
 
রিপোর্ট বলছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা মানেকা নিজেদের বানিগালা বাংলো থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি যেতে সরকারি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন। যা নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যে সরব হয়েছে। যদিও এই কাজের স্বপক্ষে পিটিআইয়ের দাবি, মাত্র তিন মিনিটের হেলিকপ্টারে চড়ার খরচ রাস্তা দিয়ে নিরাপত্তা সহ ৬-৭টি গাড়ির তেল পুড়িয়ে যাওয়ার খরচের চেয়ে কম। অনেক নিরাপদ ও কোনও ট্রাফিক জ্যাম হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

বিতর্ক এজন্যই তৈরি হয়েছে কারণ, ইমরান খান তখতে বসেই শীর্ষ আমলা ও নেতাদের প্রথম শ্রেণিতে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকী রাষ্ট্রপতি ও বিভিন্ন প্রদেশের সরকারি প্রধানরাও প্রথম শ্রেণিতে যাতায়াত করতে পারবেন না বলে নির্দেশ জারি হয়েছে। এদের মধ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্য বিচারপতি, সেনেট চেয়ারম্যান, স্পিকার, বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা রয়েছেন।