বস্তাবন্দি হাত-পা-মুণ্ডহীন দেহ! অন্তর্বাসের স্টিকার দেখে মিলল ব্যাঙ্ককর্মীর পরিচয়


ব্যাঙ্কের লোন রিকভারি এজেন্টের বস্তাবন্দি মুণ্ডহীন দেহ মিলল হাওড়ার ডোমজুড়ে। মৃতের নাম পার্থ চক্রবর্তী। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে পার্থ চক্রবর্তীকে। তবে কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে পুলিস।

জানা গেছে, নিহত পার্থ চক্রবর্তী বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্মী। হাওড়ার সলপের বন্ধন ব্যাঙ্কে লোন রিকভারি বিভাগে কাজ করতেন তিনি। প্রতিদিনের মত বুধবারও ব্যাঙ্কে এসে লোন রিকভারির কাজে বেরন পার্থ চক্রবর্তী। এরপরই বেলা ৩টে নাগাদ উদ্ধার হয় তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ।

হাওড়ার ডোমজুড়ের মাকরদহে রাস্তার ধারে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। বস্তা খুলতেই তার ভিতর পার্থ চক্রবর্তীর মুণ্ডহীন দেহ মেলে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

পুলিস জানিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে পার্থ চক্রবর্তীকে খুন করে আততায়ী। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুনের পর হাত, পা, মাথা কেটে রেখে দেহ বস্তাবন্দি করে দুষ্কৃতী। এমনকি পরিচয় লুকোতে গায়ের তিলও কেটে নেয় খুনি। অন্তর্বাসে লেগে থাকা দোকানের স্টিকার দেখে শনাক্ত করা হয় পার্থ চক্রবর্তীকে।

কিন্তু, কী কারণে এমন নৃশংসভাবে পার্থ চক্রবর্তীকে খুন করা হল, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। লোন রিকভারি কর্মী হওয়ায় তাঁর সঙ্গে কারোর বিবাদ ছিল কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। পাশাপাশি, এটাও জানা গেছে যে বুধবার লোন রিকভারি কাজে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সেই কারণে তাঁর কাছে ঋণ গ্রহীতাদের ফেরত দেওয়া কয়েক লাখ টাকাও ছিল। তাই বিবাদ বা শত্রুতার জেরে খুন নাকি টাকা ছিনতাইয়ের জন্যই পার্থ চক্রবর্তীকে খুন করা হয়েছে, সবদিক-ই খতিয়ে দেখছে পুলিস।