দুধে ভেজাল নেই তো? কী ভাবে বুঝবেন ঘরে বসেই!


ভাগাড় কাণ্ডের আতঙ্ক এখনও পুরো ফিকে হয়ে যায়নি। পুজোর মুখে রেস্তরাঁগুলো নিজেদের মেনু ঢেলে সাজানো শুরু করলেও এখনও বাইরে খাওয়ার পুরনো অভ্যাস ফিরিয়ে আনেননি অনেকেই। এত প্রচার ও সতর্কতার মধ্যেও ভোজাল জুজু পিছু ছাড়ছে না যেন! সম্প্রতি উঠে এসেছি দুধে ভেজাল মেশানোর খবরও।

স্বভাবতই এ নিয়ে চিন্তিত গৃহস্থ, শিশু থেকে বৃদ্ধ— সকলেরই প্রয়োজন দুধ।  রোগীর পথ্য হিসাবেও যাকে ধার্য করেন চিকিৎসকরা, সেই দুধেও যদি ভেজাল-ছায়া পড়ে, তা হলে দুশ্চিন্তার কারণ তাকে বইকি। এ দিকে এই কাণ্ডে নিজেদের বিশ্বস্ততা নিয়েও প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে দুগ্ধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি।
এমনই এক বিখ্যাত দুগ্ধপ্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এমন কিছু উপায়, যার মাধ্যমে যাচাই করা যাবে দুধ আদৌ ভেজাল কি না। এই নিয়মগুলিকে মান্যতা দিচ্ছেন দুগ্ধজাত দ্রব্য নিয়ে পরীক্ষা চালানো গবেষকরাও। দেখে নিন সে সব ঘরোয়া উপায়।


একটু দুধ মাটিতে ঢালুন। যদি দেখেন গড়িয়ে গিয়ে মাটিতে সাদা দাগ রেখে যাচ্ছে, তা হলে এ দুধ খাঁটি। অশুদ্ধ হলে মাটিতে সাদা দাগ পড়বে না।

দুধ গরম করতে গেলেই কি হলদেটে হয়ে যাচ্ছে? তা হলে এ দুধ খাঁটি নয়। এতে মিশেছে কার্বোহাইড্রেট।

বাড়িতেই করে ফেলুন স্টার্চ টেস্ট। একটু দুধ পাত্রে নিয়ে তাতে ২ চা চামচ নুন মেশান। যদি নুনের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তা হলে বুঝবেন, এ দুধে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।

দুধে ফর্মালিন রয়েছে কি না তা বুঝতে এর মধ্যে একটু সালফিউরিক অ্যাসিড মেশান। যদি নীল রং হয়, তবে ফর্মালিন আছে।

দুধে ইউরিয়া মেশানো আছে কি না তা ঘরোয়া উপায়ে নির্ণয় একটু কঠিন। তবে একান্তই বুঝতে চাইলে এক চামচ দুধে সয়াবিন পাউডার মেশান। কিছু ক্ষণ রেখে এতে লিটমাস পেপার রাখুন। যদি লিটমাস ডোবাতেই লাল লিটমান নীল হয়, তবে বুঝবেন ইউরিয়া রয়েছে সেই দুধে।

দুধের সমান জল মেশান একটি শিশিতে। এ বার শিশির মুখ বন্ধ করে জোরে ঝাঁকান। অস্বাভাবিক পেনা হলেই বুঝবেন, দুধে মেশানো আছে ডিটারজেন্ট।