এই সাতটি দেশ নারীদের জন্য বিপজ্জনক


 কালের বিবর্তনে মানুষ নিজেকে সভ্য বলে দাবি করলেও বর্তমান যুগে বেড়েছে ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা। এর মাত্রা এতটাই প্রকট যে, বিশ্বের কোনও প্রান্তেই নারী সুরক্ষিত নন। এই বিষয়ে সম্প্রতি থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। প্রায় ৬ হাজার ৫৫০ জন নারীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয় এই গবেষণাতে। তাতে দেখা গিয়েছে বিশ্বে এমন সাতটি শহর রয়েছে যেখানে পরিবহণ ব্যবস্থা নারীদের জন্য সুরক্ষিত নয়।

অসুরক্ষিত শহরের তালিকায় সবার প্রথমেই রয়েছে নয়া দিল্লির নাম। এখানে নারীর পক্ষে একা বেড়ানো নাকি একেবারেই অসম্ভব। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর।

নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিবহণ ব্যবস্থার তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটা। সমীক্ষা বলছে, এই শহরে প্রায় ৯৬ লক্ষ মানুষের বাস। তা সত্ত্বেও এখানকার বাস বা ট্রেন পরিষেবা অতি নিম্নমানের।

মেক্সিকো সিটিতে প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ বসবাস করেন। এটি মেক্সিকোর রাজধানী। কিন্তু সভ্য শহর হয়েও এখানকার নারীরা অসুরক্ষিত। এই শহরে নারীরা যখন গণপরিহণের মাধ্যমে যাতায়াত করেন তখন প্রতিনিয়তই তাঁরা শ্লীলতাহানি ও শারীরিক হেনস্তার শিকার হন।

পেরুর রাজধানী লিমা শহরে প্রায় ৬২ লক্ষ মানুষের বাস। এই শহরটি যদিও একটি অনুন্নত দেশের অধীনে। এই শহরের এক তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করেন। সেকারণেই এখানকার পরিবহণ ব্যবস্থা নারীদের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক।

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থাও একেবারেই বেহাল। ইতিমধ্যেই সাধারণ পরিবহণে নারীদের নানা হয়রানির ঘটনার ফলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে সে দেশের সরকার। সে কারণেই ট্রেনে ও বাসে নারীদের বসার আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানকার বাসে নারীদের ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা খুবই সাধারণ।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহর পর্যটনের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু গবেষণা বলছে, রাতে এ শহর নারীদের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়। সাধারণ কোনও পর্যটক বিদেশ যাত্রা বলতেই বোঝেন ব্যাংকক-পাটায় ট্রিপ। দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটকদের কাছে অতীব জনপ্রিয় ব্যাংককও নারীদের জন্য অসুরক্ষিত। এখানকার বাস বা ট্রেনে নারীদের প্রায়ই হেনস্তার শিকার হতে হয়।