স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ১৪ বছর জেলের পর বেকসুর খালাস


কলকাতা : স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ১৪ বছর জেল খাটার পর বেকসুর খালাস পেলেন এক ব্যক্তি। নাম বিমলেন্দু মণ্ডল। বাঁকুড়ার কোতলপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। গতকাল বিমলেন্দুবাবুকে মুক্তি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২০০৪ সাল থেকে জেলে ছিলেন তিনি।

২০০২ সালের ১৩ অগাস্ট স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বিমলেন্দুবাবু। স্ত্রী অনিমা মণ্ডলের দেহ বাড়ির পাশের ডোবা থেকে পাওয়া গেছিল। তাঁর মাথায় ও বুকে আঘাত ছিল। অনিমাদেবীর ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কোতলপুর থানা বিমলেন্দুবাবুকে গ্রেপ্তার করে। ২০০৪ সালে বাঁকুড়া আদালতের তৃতীয় ADJ তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন। সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিমলেন্দুবাবু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু, ২০০৪ সালের পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি।

কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে ঠিক হয়, একজন আইনজীবীকে আদালত বান্ধব হিসেবে দাঁড় করানো হবে। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আইনজীবী অপলক বসুকে দাঁড় করানো হয়। সওয়ালে উঠে আসে, ঘটনার সময়ে বিমলেন্দুবাবু এবং অনিমাদেবীর ৭ বছরের এক সন্তান ছিল। 

সে আদালতে জানায় যে বাবাকে দেখেছিল মাকে মারতে। কিন্তু, আইনজীবী অপলক বসু বিচারপতিকে জানান, ঘটনার সময় বিমলেন্দুবাবুর ছেলে তার মামার বাড়িতে ছিল। পাশাপাশি অনিমা মণ্ডলের দেহ বাড়ির পাশের ডোবা থেকে পাওয়া গেছে মানেই তাঁর স্বামীই যে খুন করেছে তা কি প্রমাণিত হয়? আর পুলিশও এই ঘটনায় উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি। এর ভিত্তিতেই আদালত বিমলেন্দুবাবুকে বেকসুর খালাস করে।