দেড় লাখের লোভে প্রেমিকার স্বামীকে খুন, হাতে এল মাত্র ২৬০০ !

ধৃত রতন বর্মণ

শিলিগুড়ি : নিতাই ভৌমিক খুনের ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার করা হল নিতাইয়ের স্ত্রীর প্রেমিক রতন বর্মণকে। গতরাতে তাকে গ্রেপ্তার করে NJP থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মূলত মোটা টাকার লোভেই প্রেমিকার স্বামীকে খুন করেছিল রতন।

গতমাসের ২৬ তারিখ (বৃহস্পতিবার) শহর শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির অধীন কাঞ্চনবাড়ি এলাকায় নিজের বাড়ির পিছনে ঝোপের আড়াল থেকে উদ্ধার হয় নিতাই ভৌমিকের পচাগলা দেহ। উদ্ধারের পর পুলিশ জানতে পারে সেই মাসেরই ১২ তারিখ (বৃহস্পতিবার) খুন হয় নিতাই। গলা কেটে খুন করার পর তোষকে জড়িয়ে বাড়ির পিছনে খাল সংলগ্ন এলাকায় তাঁর দেহ ফেলে দেয় স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিক রতন। এরপর থেকেই দু'জনে গা ঢাকা দেয়। গা ঢাকা দিলেও পুলিশের নজর এড়াতে পারেনি নিতাইয়ের স্ত্রী পূরবী ভৌমিক। স্বামীকে খুনের অপরাধে গত মাসের ৩১ তারিখ (মঙ্গলবার) তাকে গ্রেপ্তার করে NJP থানার পুলিশ। 

পূরবী ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানতে পারে পূরবী তার স্বামীকে খুনের জন্য নিজের প্রেমিককে কাজে লাগিয়েছিল। এরপরই পুলিশ তার প্রেমিক রতন বর্মণের খোঁজ শুরু করে। একাধিকবার বিভিন্ন জেলায় রতনের খোঁজে পুলিশ গেলেও খালি হাতে ফিরে আসে। অবশেষে গতরাতে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার অধীন চ্যাঙমারি এলাকা থেকে রতনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় NJP থানার পুলিশ। আজ তাকে জলপাইগুলি জেলা আদালতে তোলা হয়। NJP থানা সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃত রতনকে রিমান্ডে নেওয়া হবে। 

পুলিশ জানিয়েছে, ফুলবাড়ি এলাকায় কাজ করত রতন। সেই সুবাদে পূরবী ও রতনের পরিচয় হয়। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। যা নিয়ে পূরবীর বৈবাহিক জীবনে পারিবারিক বিবাদ শুরু হয়। সেই বিবাদের ইতি টানতে স্বামীকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় পূরবী। সেই মোতাবেক গত মাসের ১১ তারিখ রাতে বাড়ির জানালা খুলে রতনকে ঘরে ঢোকায় পূরবী। এরপর দু'জনে মিলে নিতাই ভৌমিকের গলায় কোপ বসিয়ে তাকে খুন করে। পরবর্তীতে তাকে তোষকে জড়িয়ে ঝোপের আড়ালে ফেলে দেওয়া হয়। 

নিতাই ভৌমিককে খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে ধৃত রতণ বর্মণ। জানা গেছে, মূলত টাকার লোভেই খুন করে সে। সেই টাকার প্রলোভন দিয়েছিল মৃতের স্ত্রী অর্থাৎ রতনের প্রেমিকা পূরবী। কথা ছিল স্বামীকে খুন করলে পূরবী রতনকে দেড় লাখ টাকা দেবে। সেই মতো খুন পরবর্তীকালে পূরবী রতনকে একটি ATM কার্ড ও পিন নম্বর দেয়। যদিও ওই নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে মাত্র ২৬০০ টাকা পায় রতন।