সারদা দুর্নীতিতে রাজীব কুমার সহ ৪ আইপিএস কর্তাকে তলব সিবিআই-এর


সারদা দুর্নীতিতে এবার সিবিআই-এর নজরে রাজ্যের ৪ আইপিএস অফিসার। আর্থিক নয়ছয়ের ঘটনায় এই ৪ আইপিএস অফিসারকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।


সারদা দুর্নীতিতে এবার সিবিআই-এর নজরে রাজ্যের ৪ আইপিএস অফিসার। আর্থিক নয়ছয়ের ঘটনায় এই ৪ আইপিএস অফিসারকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

এই ৪ আইপিএস অফিসার কারা? সূত্রের খবর, সিবিআই-এর আতস কাচের তলায় রয়েছে পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার নাম। রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। পাশাপাশি, এই তালিকায় নাম রয়েছে অতিরিক্ত কমিশনার বিনীত গোয়েল, আইজি রেল তমাল বসু ও প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষেরও। এই ৪ আইপিএস কর্তাকেই সারদা কেলেঙ্কারির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে ডিজি-কে ই-মেল করেছে সিবিআই।

জানা যাচ্ছে, ২৪ অগাস্টের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। অর্থাত্, শুক্রবারের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বটি সারতে চায় সিবিআই। তবে এখনও পর্যন্ত, সিবিআই-এর চিঠির প্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিস প্রধানের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই রাজীব কুমারের সিবিআই দফতরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। আজ বিনীত গোয়েলকে সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে ডিজিকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপ করা হলেও কোনও উত্তর আসেনি। এমনটাই জানা গেছে সিবিআি সূত্রে।

২০১৩-র মে মাসে সামনে আসে সারদা গ্রুপের দুর্নীতি। কয়েক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় সব মহলে। শাসক-বিরোধী তরজায় উত্তাল হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ। কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার হন সারদা গ্রুপের কর্ণধার সুদীপ্ত চক্রবর্তী, দেবযানী চট্টোপাধ্যায় ও অরবিন্দ সিং চহ্বান। শাসকদলের বহু নেতার নাম জড়ায় এই দুর্নীতি। সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুর চড়ান বিরোধীরা। শেষে ২০১৪-র মে মাসে সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

সারদার মতো রোজভ্যালি কাণ্ডেও তদন্তের গতি বাড়িয়েছে ইডি। মঙ্গলবার সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। ১৭ হাজার ৫২০ কোটি টাকা প্রতারণা মামলায় ৩ হাজার পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডর। একইসঙ্গে নাম রয়েছে ডিরেক্টর অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিবময় দত্তেরও।