"ফেসবুকে ব্যস্ত নার্সরা", বেডে কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যু রোগীর


জলপাইগুড়ি : চিকিৎসার গাফিলতিতে সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মৃত যুবকের রাজা সাহা। তাঁর বন্ধু ও পরিজনদের অভিযোগ, বেডে রোগী পড়ে থাকলেও নার্সরা ডাক্তার ডাকার পরিবর্তে ফেসবুক ,হোয়াটসঅ্যাপ করতে ব্যস্ত ছিলেন। সময়ে অ্যান্টি ভেনম না দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয় রাজার।

জলপাইগুড়ির বেরুবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রাজা সাহাকে গতকাল সাপে কামড়ায়। তাকে নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালে আনার পর রাজাকে ভরতি করে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত নার্স তাকে একটি ইনজেকশন দেন। স্যালাইনও দেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপর নার্সরা ডাক্তার ডাকার কথা বলে নিচের তলায় চলে যান। বেশ খানিকটা সময় অতিক্রান্ত হলেও ফিরে আসেননি তাঁরা। রাজা তখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। বাধ্য হয়ে তাঁর বন্ধুরা নিচে গিয়ে দেখে ওই নার্সরা নিচের ঘরে বসে ডাক্তার ডাকার বদলে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ করছেন। রাজার বন্ধুদের আরও অভিযোগ, হাসপাতালে আনার পর প্রায় ২০ মিনিট কেটে গেলেও রাজাকে অ্যান্টি ভেনম ইনজেকশন দেওয়া হয়নি। সেকারণেই মৃত্য হয় রোগীর।
এরপরই উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালে। রাজার পরিজন ও বন্ধুরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

মৃতের এক বন্ধু বলে, "বাড়িতে পড়ার সময় রাজাকে সাপে কামড়ায়। আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। ওকে জেনেরাল বিভাগে ভরতি করে নেওয়া হয়। নার্স এসে খালি একটা ইনজেকশন ও স্যালাইন দেয়। তারপর আমাদের বলে, আপনারা এখানে বসুন আমরা নিচে থেকে ডাক্তার ডেকে নিয়ে আসছি। তারপর দেখলাম ওরা নিচেই নেমে ডাক্তার ডাকার বদলে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ করছে। ২০ মিনিট রোগী পড়েছিল। ওরা বলল আমাদের অ্যান্টি ভেনম নেই। বেডে কাতরাতে কাতরাতে মারা যায় রাজা। সেকারণে রাজার মৃত্যু হয়।"