গৃহবধূর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি


স্বামী কাজে গিয়েছিলেন, টিউশন পড়তে গিয়েছিল সন্তান। রাত তখন আটটা। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, তাড়াতাড়ি রাতের রান্না বসিয়ে দিয়েছিলেন বছর চল্লিশের গৃহবধূ। আচমকাই দরজায় কলিং বেল। দরজা খুলতেই এক যুবক জল চেয়েছিলেন। তিনি পিছন ঘুরতেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা। ধারালো অস্ত্র ও বন্দুক হাতে তিন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ল ঘরে। গৃহবধূকে মারধর করে চলল বাড়িতে বেপরোয়া লুঠপাট। এক কথায় ভরসন্ধ্যায় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল কালনার মন্তেশ্বরের ভেলিয়া গ্রামে। দুষ্কৃতীরা দশ ভরি সোনার গয়না ও দশ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

সোমবার রাতে ভেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রুনালাইলা বিবির স্বামী দোকানে গিয়েছিলেন। তাঁর সন্তান পড়তে গিয়েছিল টিউশন। সোমবার রাতে বৃষ্টি হচ্ছিল। স্বামী-সন্তান ঘরে ফিরে যেতে তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়তে পারে, তাই ভেবে রাতের রান্না চাপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। রুনালাইলা বিবির দাবি, রাত আটটা নাগাদ তাঁর বাড়ির কলিং বেলটা বাজে। তিনি ভেবেছিলেন, টিউশন থেকে বাড়ি ফিরেছে তাঁরই সন্তান। অভিযোগ, দরজা খুলতেই তিন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র ও বন্দুক নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। তাঁর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে বেঁধে রেখে লুঠপাট চালায় বাড়িতে।

আলমারি থেকে নগদ দশ হাজার টাকা ও দশ ভরি সোনার গয়না হাতিয়ে নেয় তারা। গৃহবধূ চিত্কার করলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। 'অপারেশন'এর পর বাইরে থেকে দরজা আটকে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। রুনালাইলা বিবি ঘরে বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকেন।

কিছুক্ষণ পর স্থানীয় এক প্রতিবেশী তাঁকে বাড়িতে ডাকতে এসেই বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তিনিই প্রতিবেশীদের খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মন্তেশ্বর থানার পুলিস। গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেছে পুলিস। অভিযুক্তদের চেহারার বিবরণ নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।