ডাকাতরানি! ক্যাবের আড়ালে চালাতেন লুঠতরাজ


ক্যাব চালানো আসলে ছিল ছুতো। এর আড়ালেই চালাত ডাকাতের দল। যাদের কাজ ছিল অপহরণ, পথচারিদের কাছ থেকে লুঠ করা। একটি অপহরণের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ল নবদীপ কৌর এবং তার দুই শাকরেদ। 

নবদীপ ওরফে দীপের অপরাধ জগতের সঙ্গে পরিচয় ঘটায় তার স্বামী গুরবিন্দর সিং। আপাতত চণ্ডীগড়ের বুরাইল জেলে ৬টি ব্যাঙ্ক জাকাতির মামলায় সাজা খাটছেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজেই দল বানিয়ে ডাকাতি করার ছক কষতে থাকেন। জুটে যায় অনিলকুমার সোনু এবং গুরপ্রীত সিংয়ের মতো দুই অপরাধীও। শুরু হয় লুঠপাট। সাধারণত মহিলা ক্যাব ড্রাইভার ছিলেন বলে নবদীপকে কেউ সন্দেহ করনি এতদিন। সম্প্রতি মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৪০ হাজার টাকা লুঠ করার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিন পুরুষ দুষ্কৃতীর সঙ্গে একজন মহিলাও ছিল। তার পর থেকে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখা শুরু করে পুলিশ। পরে একটি ভিটারা ব্রেজাও লুঠ করার ঘটনা সামনে আসে।

 জলন্ধর পুলিশ কমিশনার প্রবীণ সিনহা জানান, মোহালি থেকে লুঠ করা ব্রেজা গাড়িটি গুরপ্রীতের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাকিদের খোঁজ পায় পুলিশ। ওই গাড়ি ব্যবহার করে আরও কিছু কুকর্ম করে তারা। ধৃতদের কাছ থেকে ৩৫০ গ্রাম মাদক, একটি বিভলবার, একটি পিস্তল, বেশ কিছু রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নবদীপের মোবাইল থেকে পাওয়া ফুটেজ দেখে জানা যায়, সম্প্রতি দীপক কুমার ওরফে বিন্নি গুজ্জর নামে আরও এক দুষ্কৃতীকে লুধিয়ানা জেল থেকে বার করার মতলব আঁটছিল তারা।