শীঘ্রই বাজারে মিলবে 'অহিংসা মাংস' - ইলেক্ট্রিসিটি, তথ্যপ্রযুক্তির পর আরও এক যুগান্তকারী আবিষ্কার


গোরক্ষা নিয়ে হানাহানি রোখার পথ বাতলে দিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যান মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। ভারতে তৈরি হচ্ছে 'অহিংসা মাংস'। পশুর স্টেমসেল থেকে গবেষণাগারে তৈরি করা হচ্ছে মাংস। শুক্রবার 'ফিউচার অব প্রোটিন-ফুড টেক রেভলিউশন'-এর প্রথম সম্মেলনে এই প্রযুক্তিতে তিনি ইলেক্ট্রিসিটি ও তথ্যপ্রযুক্তির পরই তৃতীয় যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করেন।

মন্ত্রীরর দাবি এক জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৬৬ শতাংশ উপভোক্তা মুরগী-মটন ছেড়ে অহিংসা মাংস গ্রহণে আগ্রহী। তিনি আরও জানান, বেশ কয়েকটি হড় আইটি সংস্থা এই প্রযুক্তি বিকাশে লগ্নি করেছে। তিনি বলেন, 'এই ধরণের মাংসের বানিজ্যিকরন করতে হবে। দেখতে হবে যাতে এখনকার নিয়মিত মাংসের জায়গা নেয় অহিংসা মাংস।'

বিদেশ থেকে এধরণের মাংস আমদানী অনেক খরচ সাপেক্ষ তাই যত দ্রুত সম্ভব দেশই সেই প্রযুক্তি উপলব্ধ করার সুপারিশ করেছেন মানেকা গান্ধী। আগামী ৫ বছরের মধ্যে তিনি এই পরিবর্তন দেখার আশা করেছেন।

এই প্রযুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই চিকেন সরবরাহকারী সংস্থা ভেঙ্কিস আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রোটিন ফাদ্য প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন মদ প্রস্তুত শিল্পের মতো দেশে খুব সীঘ্রই মাংস প্রস্তুত শিল্প গড়ে উঠবে। আর মানেকা গান্ধীক আশা এভাবে দেশে যে হিংসার বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে তারও সমাধান হবে।