নিপার গ্রাসে হারিয়েছিলেন স্ত্রীকে, প্রথম বেতন বন্যা ত্রাণে দান যুবকের


প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে কেরল৷ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ দুর্গতদের সাহায্যে জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ প্লাবিতদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে সেনা৷ এই পরিস্থিতিতেই মানবিকতার নজির গড়লেন কেরলের বাসিন্দা সাজিশ৷ সারা মাসের কষ্টার্জিত বেতন বন্যা ত্রাণে দান করলেন তিনি৷

মে মাসে নিপা ভাইরাস থাবা বসায় কেরলে৷ হাসপাতালে হাসপাতালে লম্বা লাইন পড়ে যায় রোগীদের৷ একে একে প্রাণ হারান অন্তত ১৭ জন৷ মৃতদের তালিকায় ছিলেন লিনি নামে এক মহিলাও৷ তিনি একটি হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন৷ আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়েই প্রাণ হারান লিনি৷ মৃত্যুর আগে স্বামীর উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে যান তিনি৷ মৃত্যুর পর সন্তানদের দেখভালের দায়িত্ব স্বামীকে দিয়ে যান ওই মহিলা৷ মর্মস্পর্শী সেই চিঠি ভাইরাল হয়ে যায়৷ স্ত্রীর উপার্জনেই সংসার চলত সাজিশের৷ ছোট ছোট দুই সন্তানকে রেখেই চলে যান লিনি৷ কেরল সরকার সাজিশের পাশে দাঁড়ায়৷ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরে ক্লার্কের পদে চাকরি দেওয়া হয় লিনির স্বামীকে৷ চাকরির পাশাপাশি একা হাতেই আপাতত ছোট ছোট দুই সন্তানের দেখভাল করছেন সাজিশ৷ নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর চলতি মাসেই প্রথমবার বেতন পান তিনি৷ অভাবের সংসারেও বিপদগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে ভোলেননি সাজিশ৷ তিনি বলেন, ''স্ত্রী মারা যাওয়ার সময় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম৷ প্রতিবেশী, পরিজনদের পাশে পেয়েছি৷ পাশে পেয়েছি সরকারকেও৷ রাজ্য সরকারের তরফে চাকরিও পেয়েছি আমি৷ কেরলবাসীদের আজ বিপদের দিন৷ এই বিপদেও পাশে থাকতে চাই ওঁদের৷ তাই বন্যাত্রাণে নিজের প্রথম মাসের বেতন দান করেছি৷''   

কেরলের বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশই অবনতি হয়েছে৷ প্রাণহানি যেমন হয়েছে, তেমনই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষ জমিরও৷ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, বন্যায় গোটা রাজ্যে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে৷ কেরলের অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র৷ পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷  

Highlights
কেরলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি৷

কেরলের বন্যা ত্রাণে চাকরির প্রথম বেতন দান করলেন এক যুবক৷

ওই যুবকের স্ত্রী নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷