সেপটিক ট্যাঙ্কে ডুবে মৃত্যু শিক্ষক, ছাত্রের
কোচবিহার: মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যু হল শিক্ষক ও এক ছাত্রের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা মহকুমার কুর্শামারীর আহিমদুল উলুম এমদাদিয়া মাদ্রাসায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক জিয়ারুল হাফিজ (৩৫) ও ছাত্র সফিউল হক (১৮)-এর৷ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে কুর্শামারী এলাকায়।
জেলার পুলিশসুপার ভোলানাথ পাণ্ডে জানান, মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার সময় কোনওভাবে ওই শিক্ষক ও ছাত্র সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে পড়ে যান৷ খবর পেয়ে মাথাভাঙা থানার পুলিশ দমকলকর্মীদের সাহায্যে দেহটি উদ্ধার করে৷ নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙা হাসপাতালে৷ কিন্তু চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষক জিয়ারুল হাফিজ সফিউলকে সেখানে নামিয়েছিলেন৷ কিন্তু একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক যখন কিছুটা পরিষ্কার হয়ে যায়, তখন পাশের একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে জল পড়তে শুরু করে৷
মুহূর্তে জল এতটাই বেশি হয়ে যায় যে ওই ছাত্র জলে ডুবে যেতে থাকে৷ ছাত্রের বিপদ দেখে সেখানে ঝাঁপ মারেন শিক্ষকও৷ কিন্তু আরও বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে যায় তখনই৷ সেপটিক ট্যাঙ্কের দেওয়াল ভেঙে পড়ে যায়৷ শিক্ষক, ছাত্র দু'জনই চাপা পড়ে যান সেই দেওয়ালে৷
বিষয়টি জানতে পেরে মাদ্রাসার অন্যান্য আবাসিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন৷ কিন্তু বহু চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি৷ পরে পুলিশ ও দমকলকে খবর দেওয়া হয়৷ দমকল কর্মীরা এসে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দু'জনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান৷ কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ৷
এতবড় দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে! মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের ভার শিক্ষক, ছাত্রের উপর কেন দেওয়া হল তার জবাব এখনও মেলেনি৷ এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷