পাঁচ হাজার শিক্ষক অমিল মাধ্যমিকে


স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও পোষিত স্কুলে শিক্ষক বাছাইয়ের জন্য প্রথম দফায় ঘোষিত তালিকায় শূন্য পদের তুলনায় পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রার্থী অমিল। আদালতের নির্দেশে নবম ও দশম শ্রেণিতে নিয়োগের জন্য সম্পূর্ণ মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১২,৯০৫টি শূন্যপদের মধ্যে প্রথম তালিকাভুক্ত প্রার্থীর সংখ্যা ৭,৬৬২। অর্থাৎ পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রার্থী অমিল। ওয়েটিং লিস্টে অবশ্য আরও ৮,২৫৬ জনের নাম রয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫,৯১৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আদালতে স্থগিতাদেশের জেরে বাংলার ফল প্রকাশ করা হয়নি। সূত্রের খবর, বাংলায় শূন্য আসনের সংখ্যা প্রায় ১৩০০। এসএসসি-র চেয়ারম্যান শর্মিলা মিত্রর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। যদিও তিনিই কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে লিখিত ভাবে ফল প্রকাশের কথা ঘোষণা করেছেন। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সফল প্রার্থীদের কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা। দিন কয়েক আগে রাজ্যে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ওই পরীক্ষাতেও ৬ হাজার পদের মধ্যে প্রায় ৬০০ পদের জন্য যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। কেন যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। 

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শূন্য শিক্ষক পদ ছিল ৫,২০০। তার মধ্যে প্রথম দফায় ৪,১৯৬ জন সফল প্রার্থীর তালিকা প্রকাশিত হয়। তবে তা থেকে ২৬০ জন কাউন্সেলিংয়ের পরে চাকরিতে যোগই দেননি। স্কুলশিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, বাংলায় নিয়োগে স্থগিতাদেশের কারণ হল বিশেষভাবে সক্ষম (পিএইচ) প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসন কমে যাওয়া। স্কুলশিক্ষা অধিকরণ থেকে প্রথমে যত শূন্য পদ দেখানো হয়েছিল, পরে তা অনেকটাই কমে যায়। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের একাংশ তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তার জেরেই বাংলায় ফলপ্রকাশে স্থগিতাদেশ রয়েছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বিজ্ঞপ্তি বেরোনোর পরে একেবারে শেষের দিকে লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল। প্রায় দু'বছর পরে পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ হল। শিক্ষা মহলের একাংশ অবশ্য মনে করছে, শর্মিলা এসএসসি-র চেয়ার‍ম্যান হিসেবে যোগদানের পরে যে ভাবে নিয়োগের ফল বেরোচ্ছে, তা চাকরি প্রার্থীদের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তবে কমিশনের তরফে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ্যে না আনায়, কোন বিষয়ে, কত প্রার্থী এবং কোন জাতির আসন ফাঁকা, সে সম্পর্কে চিত্র অমিল। কমিশনের ওয়েবসাইট www.westbengalssc.com এ ১৪ ডিজিটের রোল নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে ফলাফল জানা যাবে।