১৪ দিনে পাতা কুড়িয়ে ₹৯৭,০০০ আয় আদিবাসী বৃদ্ধার


জঙ্গলের পাতা কুড়িয়ে মাত্র ১৪ দিনে ৯৭,০০০ টাকা উপার্জন করলেন পঁচাত্তর বছরের আদিবাসী বৃদ্ধা গোরিবেন ভাদেরা। বৃহস্পতিবার তাঁর হাতে চেক তুলে দিল গুজরাত রাজ্য বন উন্নয়ন নিগম। 

গত কয়েক দশক ধরে পাতায় ছাওয়া কুঁড়েঘরই ঠিকানা গুজরাত-রাজস্থান সীমান্তের পরোসদা গ্রামের বাসিন্দা গোরিবেনের পরিবারের। চরম দারিদ্র তাঁদের নিত্যসঙ্গী। স্থানীয় ভুট্টা খামারে জনমজুরের কাজ করেন গোরিবেনের দুই ছেলে। সেই আয় সংসারের নয়টি ক্ষুধার্ত মুখ বন্ধ করতেই নিঃশেষ হয়।

জঙ্গলের পাতা তোলার কাজে রেকর্ড গড়ায় পুরস্কার স্বরূপ এদিন তাঁর হাতে মোট ৯৬,৭২৮ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল। সবরকান্থা জেলার খেদব্রহ্ম শহরে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে পুরস্কার নিতে নাতি দীপককে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন গোরিবেন। 

আশ্চর্যের বিষয়, জুলাই মাসে মাত্র ১৫ দিনে রেকর্ড পরিমাণ তিমরু পাতা তুলতে সক্ষম হয়েছে গোরিবেনের পরিবার। প্রতি বছর বর্ষায় মাত্র ১৫-২০ দিনের জন্যই পূর্ব গুজরাতের পাহাড়ি জঙ্গল এলাকায় দেখা যায় এই পাতা। বিড়ি তৈরির কাজে এই পাতার খুব চাহিদা। বস্তুত স্থানীয় ৩৪ হাজার আদিবাসী পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হয়েছে জঙ্গলের তিমরু পাতা। 

জীবনে প্রথম এই পরিমাণ টাকা একসঙ্গে দেখলেন গোরিবেন। আপ্লুত বৃদ্ধা জানিয়েছে, 'আমি চাই সকলে এমন রোজগার করে ভালো বাড়ি তৈরি করুক। এই অর্থ আমরা ঘরদোর মেরামতির পিছনেই খরচ করব।' 

গোরিবেনের নাতি দীপক জানিয়েছেন, 'ভুট্টা চাষেও ভালো আয় হয়। তবে তার জন্য দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দিনরাত পরিশ্রম করতে হয়। মাত্র কয়েক দিন খেটে এত টাকা রোজগার করা যায়, জানতাম না।'