বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, হরিদেবপুরে সদ্যোজাতকে খুন করে স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টা স্ত্রী-র


হরিদেবপুরের দরগাতলায় অভিযুক্ত মানোয়ারা বিবি।

একদিনের সন্তানকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে! অভিযোগ, পুত্র সন্তান হলেও তিনি প্রথমে কন্যা সন্তান হয়েছে বলে পাড়ায় রটিয়ে দেন।এমনকি, শিশুটির মৃত্যুর দায় চাপানোর চেষ্টা করেন স্বামীর ওপর। বলেন, মেয়ে হয়েছে বলেই খুন করা হয়েছে। প্রথমে পুলিশও তাই মনে করেছিল। ময়না তদন্তের পর জানা যায়, সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।

পুলিশি জেরায় শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়েন ওই মহিলা। তখন তার মুখ থেকেই এই ঘটনা  জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা। এমনকি ওই মহিলার স্বামীও স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের কথা পুলিশকে জানায়। ইতিমধ্যেই মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কলকাতায় হরিদেবপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশিরা বিষয়টি জানতে পেরে রীতিমতো স্তম্ভিত।

হরিদেবপুরের বাসিন্দা হান্নান মোল্লা পেশায় সব্জি বিক্রেতা। দুই কন্যা সন্তানের পর এক পুত্র সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে তিনি হিমশিম খাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার ফের এক সন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী মানোয়ারা বিবি। বুধবার রাতেই তাঁদের চতুর্থ সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার হয় খাটের তলা থেকে।

কেন খুন করা হল সদ্যোজাতকে? এ নিয়ে যখন প্রতিবেশিরা কৌতূহল তুঙ্গে, তখন তাঁরা দেখেন সদ্যোজাতের মৃত্যু নিয়ে স্বামী এবং স্ত্রী একে অপরকে দোষারোপ করছেন। তখনও তাঁরা জানতেন কন্যা সন্তানেরই জন্ম দিয়েছিলেন মানোয়ারা। তাঁদেরও সন্দেহ হয় মেয়ে হয়েছে বলেই হান্নান তাকে মেরে ফেলেছে। পুলিশে খবর যায়। তদন্তকারী অফিসারেরাও প্রথম তাই ভেবে ছিলেন। পরে তদন্তে সত্য উঠে আসে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানা গিয়েছে, মৃত সন্তানের বাবা হান্নান মোল্লা নয়। অন্য কারও সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মনোয়ারা। এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না মানোয়ারার স্বামী। তা নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত।

চমকে দেওয়ার মতো বিষয় হল, ওই দম্পতির তৃতীয় কন্যা সন্তানের বাবাও নাকি হান্নান মোল্লা নয়। এই ঘটনার পরে, যে চতুর্থ সন্তানের জন্ম দেন মানোয়ারা, তা-ও বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কেরই ফল। প্রথম বারের ঘটনা মেনে নিলেও, এ বার আর মেনে নিতে পারছিলেন না হান্নান। তাই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন স্ত্রী। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

কলকাতার এই মুহূর্তের শিরোনাম কী - জানতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।