সিভিক পুলিশের হেনস্থার শিকার বাইক আরোহী


হাওড়া: এক যুবককে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠল সিভিক পুলিশের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের নতুন রাস্তা মোড়ে৷

ওই যুবকের অভিযোগ, গাড়িতে কেস দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়৷ প্রকাশ্য রাস্তায় ওই সিভিক পুলিশ কর্মী বাইক আরোহীকে চড় মারেন। জামার কলার ধরে টানতে টানতে ট্রাফিক পুলিশের কিয়স্কে ঢুকিয়ে দেন। উর্দি পরা এক পুলিশ কর্মী তাঁকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমের নজরে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। সাধারণ মানুষ সিভিক পুলিশের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে৷ তাদের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাধারণ পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই বাইক আরোহী ট্রাফিক আইন ভাঙেননি। তা সত্ত্বেও তাঁর কাছ থেকে লাইসেন্স চেয়ে নিয়ে কেস দেওয়া হচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই বাইক আরোহী। তিনি পুলিশের হাত থেকে লাইসেন্স কেড়ে নিলে সিভিক কর্মী তেড়ে এসে তাঁকে নিগ্রহ করেন।

সন্দীপ ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি জানান, ওই বাইক আরোহীর কাছে পুলিশ লাইসেন্স দেখতে চেয়েছিল। তিনি দিতে চাননি বলে তাঁকে মারধর করছিল। গাড়িতে মাল নিয়ে গেলেই এখানে টাকা চাইছে সিভিক পুলিশ। অফিসার ছাড়া কারও লাইসেন্স দেখতে চাওয়ার কোনও অধিকার নেই। সিভিক পুলিশ যা খুশি তাই করছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।

শুভ্রজ্যোতি মন্ডল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হঠাৎ করেই নতুন রাস্তা মোড়ে সিগন্যাল পড়ে। ওই ব্যক্তি বাম্পার ক্রস করে সাইডে ইন্ডিকেটর মেরে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই ওনার কাছে ছুটে আসে সিভিক পুলিশ। ওনার কাছে গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র হেলমেট সবই ছিল। তা সত্বেও সিভিক পুলিশ এসে তাঁকে অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে বলে। এরপর কেস দিতে থাকে।

যখন ওই ব্যক্তি সিভিক পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেন কী কারণে তাঁকে কেস দেওয়া হল৷ তখন এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্ক শুরু হয়। উনি পুলিশের হাত থেকে লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই সিভিক পুলিশ এসে ওনার জামার কলার ধরে টানতে টানতে চড় মেরে পুলিশ বুথে ঢুকিয়ে দেয়৷ তারপর তাঁকে মারধরও করে। এদিকে, ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।