বধূকে ধর্ষণের অভিযোগে পরকীয়ার সন্দেহ পুলিশের


সিউড়ি:অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে ধর্ষিতা হলেন এক গৃহবধূ। বাইকে করে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

রবিবার বীরভূমের কাঁকরতলা থেকে নিজের দু'বছরের অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে বাসে করে সিউড়ি আসছিলেন ওই গৃহবধূ। দুবরাজপুরে বাসটি কিছুক্ষণ যাত্রী নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। পরিবারের দাবি, সেখানেই অভিযুক্ত বাইক আরোহীর সঙ্গে ওই গৃহবধূর দেখা হয়। বাসের জানালার ধারে বসে থাকা ওই বধূকে বাস থেকে নেমে বাইকে করে সিউড়ি যাওয়ার প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত বাইক আরোহী।

তারপর রাত পর্যন্ত আর কোনও খবর মেলেনি ওই বধূর। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় কাঁকরতলা থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হয়। এদিকে নির্যাতিতার দাদা জানান, রাতে সিউড়ি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। জানানো হয় তাঁর বোন গুরুতর জখম। তাঁর মাথায় চোট আছে। তাঁর ওপর ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।

পরিবারের দাবি, তাঁরা সিউড়ি থানায় এসে জানতে পারেন স্বামী পরিচয় দিয়ে তাঁদের ফোন নম্বর দিয়ে অচৈতন্য ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে কেউ ভরতি করেছেন। এখানেই পুলিশের ধন্ধ শুরু হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে,অভিযুক্ত বাইক আরোহী ওই গৃহবধূর পূর্ব পরিচিত। দু'জনের সম্মতিতেই তারা দুজনে রবিবার সারাদিন নিজেদের মতো করে সময় কাটিয়েছেন। ফের বাইকে করে কাঁকরতলা আসার পথে বাইক আরোহীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর দেখা হয়।

প্রতিক্ষদর্শীরা জানান, বসন্তবুড়িতলার কাছে ওই নির্যাতিতা বাইক থেকে পড়ে যান। বাইকে দুই মহিলা ও এক শিশুকন্যাও ছিল। তাঁরা জানান, দুই মহিলা ও বাইক আরোহীর মধ্যে চরম বিবাদ চলছিল। পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই তাঁদের এই বিবাদ।

তবে বাইক থেকে নির্যাতিতা নিজে পড়ে গিয়েছেন। নাকি তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গত রবিবার সিউড়ি হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতাকে ভরতি করা হয়েছে। তবে তবে জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত প্রকৃত ঘটনা না দেখে কাঁকরতলা থানার পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিতে চাইছে না। তবে এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।