ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব, অভিযুক্ত বিশ্বভারতীর চিনা ভবনের বিভাগীয় প্রধান


শান্তিনিকেতন : ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীর চিনা ভবনের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে। এনিয়ে একাধিক পোস্টারও পড়েছে। তাঁর অপসারণের দাবি জানিয়েছে পড়ুয়ারা। বিষয়টি জানাজানি হতেই এক ছাত্রীকে দেওয়া কুপ্রস্তাবের রেকর্ডও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

ওই বিভাগীয় প্রধানের অপসারণ সহ উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ভাষা ভবন, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, ছাত্র পরিচালকের দপ্তর সহ একাধিক জায়গায় এই সংক্রান্ত পোস্টার দেখা যায়। অভিযোগ, বিশ্বভারতীর চিনা ভবনের বিভাগীয় প্রধান বেশিরভাগ সময়ই ছাত্রীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার লোভ বা ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকেন। এক ছাত্রীর সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীতে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই রেকর্ডিংয়ে নাকি ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিতে শোনা যাচ্ছে। এরপরই নিন্দায় সরব হন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা।

এর আগেও বিশ্বভারতীতে এই ধরনের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীতে যৌন হেনস্থা, কুপ্রস্তাবের মতো অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে বিশাখা কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে বিশ্বভারতীর প্রতিটি ভবনের একজন করে সদস্য রয়েছেন। জানা গেছে, এই বিষয়ে এখনও বিশাখা কমিটির কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে, নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই ধরনের কোনও অভিযোগ উঠলেই বিশাখা কমিটি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত করে দেখে। সেই মতো ওই কমিটি এই ঘটনারও তদন্ত করবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। 

যদিও, এই প্রসঙ্গে চিনা ভবনের বিভাগীয় প্রধান বলেন, "আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না।"