আজ ৩৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি, কাশ্মীরে উত্তেজনা


নয়াদিল্লি: জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ নাগরিকত্ব অধিকার দেওয়া সংবিধানের ৩৫এ ধারা নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুরু হচ্ছে শুনানি। আর এই ধারা বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে কাশ্মীর জুড়ে। বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্স উপত্যকায় ২ দিনের বনধ ডেকেছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও সমর্থন করেছে এই বনধ। আবার যাঁরা এই ধারার কারণে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা বারবার দাবি করছেন, ৩৫এ বিলুপ্ত করতে হবে।

৩০ জুলাই কাশ্মীরের বিদ্বজ্জন সমাজ শ্রীনগরে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ৩৫এ ধারার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে দায়ের হওয়া মামলার বিরোধিতা করে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি লুফে নেয় রাজনৈতিক দলগুলি। উপত্যকার বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ও সামাজিক সংগঠন এই ধারাকে বাঁচিয়ে রাখতে রাস্তায় নেমে পড়ে। যোগ দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিও। এই ধারার সমর্থনে গতকাল ও আজ গোটা উপত্যকায় বনধ ডাকা হয়েছে। আর এই বনধকে সমর্থন করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্স।

দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই দ্য সিটিজেনস সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে ৩৫এ ধারার বিরুদ্ধে। এই ধারা হঠানোর দাবি করেছে তারা। কিন্তু এই আবেদনের বিরোধীদের বক্তব্য, ৩৫এ তুলে দিলে কাশ্মীরের বিশেষ নাগরিকত্ব অধিকার হরণ করা হবে, সঙ্গে সঙ্গে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ৩৭০ ধারা। জম্মু কাশ্মীর ও অবশিষ্ট ভারতের মধ্যে আইনগত যে পার্থক্য রয়েছে, তা মুছে ফেলা হবে। এই পরিস্থিতির জেরে বেশ কয়েকবার রাজ্য সরকারের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গিয়েছে এই মামলার শুনানি। এবারেও জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপাল এনএল ভোরা শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন।

১৯৫৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের নির্দেশে ভারতের সংবিধানে ৩৫এ ধারাটি যুক্ত হয়। এই ধারা অনুযায়ী জম্মু কাশ্মীরের স্থায়ী নাগরিক তাঁরাই, যাঁরা ১৪ মে, ১৯৫৪ থেকে বা তার আগের ১০ বছর ধরে ওই রাজ্যের নাগরিক ও ওখানে যাঁদের সম্পত্তি রয়েছে। অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা জম্মু কাশ্মীরে সম্পত্তি কিনতে পারেন না, পারেন না সেখানকার নাগরিকত্ব নিতে। জম্মু কাশ্মীরের মেয়েরা অন্য রাজ্যে বিয়ে করলে তখনই শেষ হয়ে যায় তাঁর ও তাঁর সন্তানের কাশ্মীরের সম্পত্তির অধিকার।