প্রধান শিক্ষকের লালসার শিকার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী


তমলুক: ফের শিক্ষকের লালসার শিকার হল এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী৷ ঘটনাটি ঘটেছে রামনগর থানার দেপাল পঞ্চায়েতের শিখরবাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে৷ অভিযুক্ত অচিন্তকুমার মান্না ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রী পড়া না পারায় তাকে যৌন নির্যাতন করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অচিন্তকুমার মান্না৷ ওই ছাত্রী বাড়িতে এসে তার পরিবারকে ঘটনার কথা সব জানায়৷ এরপর ওই ছাত্রীর বাবা মা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন৷

গ্রামবাসীদের চাপে নিজের কুকীর্তি স্বীকার করে নিয়েছিল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অচিন্তকুমার মান্না। অপরাধ স্বীকারের মুচলেকা জমা দিয়েছিল পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে। পাশাপাশি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। যা মেনে নিতে পারেননি গ্রামের মানুষ।

তাই এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ ছিলেন স্থানীয় মানুষ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি৷ তাই শুক্রবার স্কুল খোলার পরই চড়াও হন তাঁরা। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত দেখে আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। অন্য দুই শিক্ষক-শিক্ষিকাকে তালাবন্দি করে রাখেন স্কুলে। চলে বিক্ষোভ। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।

তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক প্রায় প্রত্যেক ছাত্রীর সঙ্গে এমন পাশবিক অত্যাচার করে থাকেন। বদনামের ভয়ে অনেক অভিভাবক সব জেনেও মুখ বন্ধ রাখতেন। কিন্তু সপ্তাহখানেক আগে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের অসভ্যতার কীর্তি সামনে আসে৷ তারপর প্রতিবাদ শুরু করেন বাসিন্দারা।

এদিন বেলা ১১ টা থেকে প্রায় ১ টা পর্যন্ত স্কুলে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি দুই শিক্ষক-শিক্ষিকাকে আটকে রাখেন বাসিন্দারা। দীর্ঘ চেষ্টার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে বন্দী শিক্ষকদের মুক্ত করে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে ফেরত পাঠায় পুলিশ। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুলের পঠনপাঠন।