‘দয়ার দান’ নয়, মহার্ঘ ভাতা কর্মীদের আইনি অধিকার, রায় হাইকোর্টের

কলকাতা হাইকোর্টে ডিএ মামলার রায়দান।


মহার্ঘ ভাতা 'সরকারের দয়ার দান' নয়, কর্মীদের আইনি অধিকার। স্যাটের রায় খারিজ করে ডিএ মামলায় শুক্রবার এই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি  দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এর ফলে হাইকোর্টে কার্যত রাজ্য সরকারের মুখ পুড়ল বলে মনে করছে আইনজ্ঞ মহল।

ডিএ মামলায় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে (স্যাট) শুনানির সময় রাজ্য সরকার জানায়, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের আইনসিদ্ধ অধিকার নয়। সরকার ইচ্ছে করলে দিতে পারে, নাও দিতে পারে। অর্থাৎ ডিএ দেওয়া বা না দেওয়া সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। স্যাট সেই বক্তব্যকেই মান্যতা দেয়।
এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে আইএনটিইউসি অনুমোদিত কর্মী সংগঠন। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সিপিএম এবং বিজেপি-র কর্মী সংগঠনও মামলায় সামিল হয়। এদিন সেই মামলারই রায় ঘোষণা করল আদালত।

মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে হাইকোর্টে সওয়াল করা হয়েছিল, ডিএ কখনওই কর্মীদের অধিকার নয়। কনফেডারেশনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী আমজাদ আলি। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ছিলেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষে। দুই আইনজীবীই সরকারের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন।

এদিনে মামলা চলাকালীনই রাজ্য সরকার নতুন হারে ডিএ ঘোষণা করে। তবে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা ২০১৯-এর জানুয়ারি থেকে কার্যকরী হবে বলে ঘোষণা করা হয়। সেই বিষয়টিও আদালতে তুলে ধরে রাজ্য সরকার। ডিএ বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতায় আর কোনও ফারাক নেই বলেও জানানো হয়। তবে আদালত সে যুক্তি মানেনি। উল্টে আদালত প্রশ্ন তোলে, বাজারমূল্য বৃদ্ধির জন্য যদি ডিএ দেওয়া হয়, তাহলে ২০১৯ সালে গিয়ে সেটা দেওয়ার অর্থ কী।