বন্যা বিপর্যস্ত কেরল, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা


কোচি: ভাসমান কেরলে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ এখনও পর্যন্ত বন্যায় ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ স্বাধীনতার পর সবচেয়ে ভয়ানক বন্যার সম্মুখীন কেরলবাসী৷

গৃহহীন দেড় লাখ মানুষ ত্রাণ শিবিরে ভি়ড়েছেন৷ রাজ্যে এই প্রথম একসঙ্গে ৩৫টি বাঁধের জল ছাড়া হয়েছে৷ মোট ৩৯টি বাঁধের মধ্যে ৩৫টির থেকেই জল ছাড়া হয়েছে৷ তামিলনাড়ুর মুল্লাপেরিয়ার বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পর কেরলের বন্যাপরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে৷

বুধবারই জল ছাড়া হয়৷ বন্যার ফলে এই প্রথম চারদিনের জন্য বন্ধ রয়েছে কোচি বিমানবন্দর৷ বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিমান পরিষেবা৷ রানওয়ে পুরোপুরি জলের তলায়৷ ফলে কোনও বিমান ওঠানামা করতে পারছে না৷ বেশ কিছু বিমানকে কোঝিকোড় ও তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দর দিয়ে অবতরণ করানো হচ্ছে৷ তবে তা সংখ্যায় বেশ কম৷ রেল লাইনের বস্থাও একইরকম৷কোচি বিমানবন্দর পেরিয়ার নদীর তীরের কাছে অবস্থিত৷ ফলে নদীর জল বিপদসীমার ওপরে দিয়ে বওয়ায়, সেই রেশ এসে পড়েছে বিমানবন্দরেও৷ ইদ্দুকি বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে৷ ফলে জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা৷ আপাতত বানভাসিদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যাঁরা নিজেদের জমি ও ঘর দুটোই হারিয়েছেন তাঁদের মোট ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে৷ যেখানে ৬ লক্ষ টাকা জমি কেনার, ৪ লক্ষ টাকা বাড়ি বানানোর৷ বন্যার্তদের মধ্যে যাদের গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে গিয়েছে তাদের বিনামূল্যে নথি তৈরির আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন৷

বন্যাবিধ্বস্ত প্রত্যেক ত্রাণ শিবিরে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে৷ রাজ্যের স্কুলগুলিতেও আশ্রয় নিয়েছেন বন্যার্তরা৷ একটানা বৃষ্টি এখনও চলছে৷ তিরুবনন্তপুরমে পথনমমিথায় জলমগ্ন এলাকার থেকে ৭ জনকে উদ্ধার করেছে সেনা৷ জাতীয় স্বার্থে জরুরী ব্যবস্থা জারি কেরলে৷ স্কুল, কলেজ, সরকারি দফতর আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন৷