সাড়ে ১৭ হাজার কোটির প্রতারণা রোজভ্যালির, প্রথম চার্জশিটে জানাল ইডি

রোজভ্যালী কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু।

গৌতম কুণ্ডুর রোজভ্যালি গোষ্ঠী বাজার থেকে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল। ডিভেঞ্চার মামলার পর চিট ফান্ড মামলায় প্রথম চার্জশিটে আদালতকে এমনটাই জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
ইডি সূত্রে খবর, প্রথম চার্জশিট জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালতের কাছে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়ার অনুমতি চেয়েছে ইডি। তিন হাজার পাতার চার্জশিটে জেলবন্দি রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু ছাড়াও নাম রয়েছে আরও দুই ডিরেক্টর অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিবময় দত্তের। চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে রোজভ্যালি হোটেল, রিয়েল এস্টেট এবং এন্টারটেনমেন্ট সংস্থা।

চার্জশিট অনুযায়ী, এই সংস্থাগুলিকে সামনে রেখেই পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ওড়িশা এবং ত্রিপুরা থেকে এই টাকা তুলেছিল রোজভ্যালি। সেই টাকার একটা অংশ লগ্নিকারীদের ফেরৎ দেওয়া হলেও বেশির ভাগ টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।

ইডি সূত্রে খবর, প্রথম চার্জশিটে মূলত কী কী ভাবে রোজ ভ্যালির এই সংস্থাগুলি টাকা তুলেছে এবং কী ভাবে সেই টাকা পাচার করেছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে উঠে এসেছে, রোজভ্যালির এই ডিরেক্টররা ছাড়াও একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁদের মাধ্যমে সেই টাকা পাচার হয়েছে। অতিরিক্ত চার্জশিটে সেই ব্যক্তিদের ভূমিকা উল্লেখ করা হবে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে।