কিছু পুঁজিপতির কালো টাকা সাদা করতেই নোটবন্দি! মোদীকে তোপ রাহুলের


নোটবন্দির মাধ্যমে দেশের দেশের ১৫-২০ জন পুঁজিপতির কালো ধন সাদা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাঁরা এই সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু বলেও অভিযোগ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে রাহুল নোটবন্দিকে অপরাধ নয়, 'বড়সড় কেলেঙ্কারি' বলে অভিহিত করেন। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর জবাব দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, ''ভুল হলে মানুষ ক্ষমা চায়। প্রধানমন্ত্রী ভুল করেননি। জেনে বুঝেই এ কাজ করেছেন। তাঁকে জবাব দিতে হবে কেন এ কাজ করেছিলেন।''

এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে নোটবন্দি প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকেও একহাত নিয়েছেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, অমিত যে ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সেই ব্যাঙ্কে ৭০০ কোটি টাকার নোট জমা পড়েছে। এই নোটবন্দিকে গরিব এবং ক্ষুদ্রব্যবসায়ীদের উপর আঘাত হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি জানিয়েছে, নোটবন্দিতে ৯৯ শতাংশেরও বেশি টাকা ফিরে এসেছে। রাহুলের আশা, ভবিষ্যতে এ নিয়ে আরও তথ্য সামনে আসবে।  

রাফাল চুক্তি নিয়েও সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর অভিযোগের তির ছিল অনিল অম্বানির দিকে।রাহুল বলেন, যত খুশি মানহানির মামলা করুন ওঁরা। মামলা করে সত্য চাপা দেওয়া যায় না। তাঁর প্রশ্ন, ৫২০ কোটি টাকার বিমান কেন ১৬০০ কোটি টাকায় কেনা হল? কাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে?

যেখানে বিমানের গুণগত মানে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না বলে প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, রাফাল চুক্তির কিছুদিন আগেই মাত্র কোম্পানি খুলেছিলেন অনিল। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে সরকার কেন যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করছে না সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকেও কটাক্ষ করেন তিনি।