সরকার ও তার নীতির সমালোচনা করা মানেই দেশদ্রোহিতা নয়, সাফ জানাল ল' কমিশন


ক্ষমতাসীন সরকারের বা তার নীতির সমালোচনা করা মানেই দেশদ্রোহিতা নয়। বরং ভিন্নমত ও সরকারের সমালোচনাই গণতন্ত্রকে মজবুত করে। দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তখনই তোলা যেতে পারে, যখন হিংসাত্মক পথে বা বেআইনিভাবে সরকারকে সরানোর চেষ্টা করা হবে। একটি কনসাল্টেশন পেপার প্রকাশ করে একথা সাফ জানালো ল' কমিশন।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ ধারায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা করা হয়। ল' কমিশন এই আইনটি রাখা আদৌ যুক্তিযুক্ত কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। কারণ এই আইনটি ভারতীয় দণ্ডবিধিতে যুক্ত করেছিল ইংরেজরা। ল' কমিশন বলেছে, কঠোরতম আইনের উদাহরণ হিসেবে থাকার বোঝা নামাতে আজ থেকে ১০ বছর আগে ইউনাইটেড কিংডমে দেশদ্রোহিতা আইন তুলে দেওয়া হয়েছে।

ল' কমিশন আরও বলেছে, ভারত বিশ্বের সর্ববৃহত গণতন্ত্র। বাক স্বাধীনতা ও স্বাধীন অভিব্যক্তি প্রকাশের অধিকার গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য উপাদান। একে সংবিধানেও মৌলিক অধিকার হিসাবে দেখা হয়েছে। কাজেই এই দেশে দেশদ্রোহিতার সংজ্ঞাটা পাল্টানো দরকার।

কমিশনের মতে, স্বাধীন দেশেও যদি সমালোচনাকে প্রশ্রয় না দেওয়া হয়, তাহলে পরাধীনতার থেকে বিশেষ তফাত হয় না। কনসাল্টেশন পেপারে স্পষ্ট বলা হয়েছে, 'যদি দেশ ইতিবাচক সমালোচনাই গ্রহণ করে না পারে, তাহলে বলতে হবে স্বাধীনতার আগে ও পরে শাসকের চিন্তাধারার বিশেষ পরিবর্তন ঘটেনি।'