অনলাইনে ছবি পোস্ট করে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো?


সোশাল মিডিয়ায় রোজই আমরা কিছু না কিছু আপলোড করি। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছবি অথবা ভিডিও। মোবাইল থেকে বিভিন্ন সময়ে ছবি তুলে তা সঠিকভাবে পরীক্ষা না করেই আমরা সেই ছবি সোশাল মিডিয়াল আপলোড করে দিই। রেস্টুরেন্টে প্রিয়জনের সাথে ডেট বা বন্ধুদের সাথে সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট থেকে বাদ যায় না কিছুই। প্রতি নিয়ত ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাটে কিছু না কিছু পোস্ট করতে থাকি আমরা।

সাধারন ছবি শেয়ারের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা সেই ছবির সাথে সোশাল মিডিয়ায় জন সমক্ষে নিয়ে আসি। অনলাইনে প্রতি নিয়ত ছবি পোস্ট করে অজান্তেই নিজের বা প্রিয়জনের বিপদ ডেকে আনছেন না তো? সুরক্ষা নিশ্চিত কর্তে অনলাইনে ছবি পোস্ট

করার আগে কোন জিনিসগুলিতে নজর দেওয়া উচিৎ?
ছবিতে আপনাকে ছাড়া আর কী দেখা যাচ্ছে?

অনেক সময় সেলফি অথবা ফোনে তোলা অন্য ছবিতে নিজেকে ছাড়াও অনেক ব্যক্তিগত তথ্য থেকে যায়। বিশেষ করে ঘরের ভিতরে তোলা ছবিতে বাড়ির অনেকঅটাই দেখা যায়। যা আপনার সুরক্ষার জন্য ভালো নয়। এছাড়াও আপনার সাথে ছবিতে অন্য কেউ থাকলে সেই ব্যক্তি কোথায় রয়েছেন তা অজান্তেই আনলাইনে চলে আসে। এর ফলে আপনি অজান্তেই নিজেকে ও অন্যকে বিপদের সামনে ঠেলে দিতে পারেন।

ছবি কোথায় তোলা?
কোন ছবি এক ঝলক দেখেই বুঝে নেওয়া সম্ভব সেই ছবি কোথায় তোলা। এর ফলে আপনি ঠিক কোন জায়গাতে আছেন তা বিশ্বের যে কোন ব্যক্তি জেনে নিতে পারবেন। এছাড়াও বাড়িতে তোলা ছবির জিওলোকেশান অন থাকলে সারা বিশ্বের কাছে আপনার বাড়ির ঠিকানা জানিয়ে দিচ্ছেন। পরে অন্য কোথাও গিয়ে ছবি পোস্ট করলে সহজেই জেনে যাওয়া যাবে যে আপনি বাড়িতে নেই। চোরেদের কাছে ইতিমধ্যেই আপনার বাড়ির ঠিকানা রয়েছে। বাকিটা বুঝে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না নিশ্চই।

কোন ছবি কী সেটিংস এ, কোথায়, কবে, কখন তোলা হয়েছে তা স্টোর থাকে এই মেটাডাটাতে। এই ডাটা ব্যবহার করে যে কেউ আপনার বাড়ি বা প্রিয়জনের বাড়িতে তোলা ছবি থেকে সেই জায়গার ঠিকানা পেয়ে যেতে পারেন। তাই অনলাইনে ছবি শেয়ার করার আগে ছবির মেটাডাটা ডিলিট করে দিন।