শিশু ধর্ষণে নির্যাতিতার অস্পষ্ট ছবিও ব্যবহার করা যাবে না: সুপ্রিম কোর্ট


নয়াদিল্লি: কড়া নির্দেশিকা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালত বৃহস্পতিবার পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে নাবালিকা বা শিশু ধর্ষণের খবর করতে গিয়ে নির্যাতিতার অস্পষ্ট ছবিও ব্যবহার করা যাবে না৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ বৈদ্যুতিন মাধ্যম, সংবাগপত্র ও অন্যান্য গণ মাধ্যমে নাবালিকার অস্পষ্ট ছবি দিলেও, তার পরিচয় প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে৷

একটি স্বত:প্রণোদিত মামলা দায়ের করে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ কড়া ভাষায় সংবাদমাধ্যমগুলিকে সতর্ক করেছে শীর্ষ আদালত৷ জানিয়েছে কোনওভাবেই কোনও নির্যাতিতা নাবালিকার অস্পষ্ট ছবি প্রকাশ করা যাবে না৷ বিহারের মুজফফরপুর হোমের ধর্ষণকাণ্ডের প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে আদালত৷ বিহার সরকার ওww কেন্দ্রকে এই মর্মে একটি নোটিশও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷

কেন্দ্র ও বিহার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই ইস্যুতে জবাবও চেয়ে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ গত জুলাই মাসেই প্রকাশ্যে আসে বিহারের মুজফফরপুর হোমের ভয়াবহ চিত্র৷ ৪০ জন নাবালিকাকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়৷ জানা যায়, নাবালিকাদের নগ্ন অবস্থায় শুতে বাধ্য করতেন শিক্ষিকা। এক নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। দেহ খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।

 
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিক্ষিকা কিরণ নিজেও নগ্ন হয়ে ঘুমোতেন, পাশে থাকত ৩-৪ জন নাবালিকা। উদ্ধারের পর এক নাবালিকা জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীদের দেহ মাটির তলায় পুঁতে দেওয়া হত। এরপরই নতুন করে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

মাসখানেক আগে ওই হোমের যৌন হেনস্থার চিত্র সামনে আসে। একটি এনজিও সেই তথ্য জানতে পেরে প্রকাশ্যে আনে পুরো বিষয়টি। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১০ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাবালিকাদের সবাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্য জায়গায়।

এই ঘটনায় রীতিমত উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট৷ কীভাবে এই ঘটনা চার মাস ধরে ঘটলেও, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গেল. তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত৷ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালাত হোমটি৷ সেটিকে তালাবন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ৷ হোমের আবাসিকদের অন্য জেলার হোমগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বিহারের রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক৷