ভারতীয় উড়ানের ঐতিহাসিক দিন, স্পাইস জেটের উদ্যোগে ভারত উঠল বিশ্বের এলিট তালিকায়


দেরাদুন থেকে দিল্লি, ২৫ মিনিটের সামান্য পথ এল স্পাইস জেটের একটি বম্বারডিয়ার কিউ৪০০ বিমান। আর তাতেই লেখা হল ইতিহাস। প্রথম বায়োফুয়েলে সম্বৃদ্ধ প্লেন চলল ভারতে। এর ফলে কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলির সঙ্গে এক এলিট তালিকায় ঢুকে গেল ভারত। বায়োফুয়েলে যেমন কার্বন কম তৈরি হয়, ফুয়েল এফিসিয়েন্সিও বেশি পাওয়া যায়।

এদিনের বিমানটি অবশ্য সম্পুর্ণরুপে বায়োফুয়েলে ওড়েনি, ৭৫ শতাংশ ছিল উড়ানের স্বাভাবিক জ্বালানি, বাকিটা ছিল বায়োফুয়েল। দেরাদুনের সিআইএসআর-ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পেট্রোলিয়াম-এ পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্তুত হয়েছে এই মিশ্র জ্বালানীটি। প্রস্তুতকারক জাতোর্ফা কর্প।

এদিন ডিজিসিএ ও স্পাইস জেটের আধিকারিকরা সহ মোট ২০ জন ওই বিশেষ বিমানে দেরাদুন থেকে দিল্লি আসেন। দিল্লি এয়ারপোর্ট টার্মিনালে এই ঐতিহাসসিক ঘটনাটিকে উদয়াপন করতে ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু, সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, অসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা এবং স্পাইসজেটের সিইও অজয় সিং।

অজয় সিং বলেন, বায়োজেট ফুয়েল দামেও সস্তা এবং এতে কার্বণ নির্গমনের পরিমাণও কম হয়। তিনি আরও দাবি করেন, 'এই ফুয়েল ব্যবহারের ফলে প্রতিটি উড়ান পিছু আমাদের প্রচলিত উড়ান জ্বালানীর নির্ভরতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে। ফলে টিকিটের দামও কমবে।'

গ্লোবাল এয়ারলাইন্স বডি আইএটিএ জানিয়েছে সারা বিশ্বে তৈরি হওয়া গ্রীন হাউস গ্যাসের মোট পরিমাণের ২ শতাংশ তৈরি হয় বিমান পরিবহনে। ২০২৫ সালের মধ্যে তারা ১০০ কোটি মানুষ যাতে এই মিশ্র বায়োফুয়েল জেটে ভ্রমণ করতে পারেন, সেই লক্ষ্য নিয়েছে। স্পাইস জেটের এই পরীক্ষামূলক উড়ান তাদের সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।