অভিযুক্তর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় মেয়ে, বাধা দেওয়ায় খুন প্রবীণ?


দুর্গাপুর : দুর্গাপুরের ফরিদপুর রায়পাড়ায় প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক খুনে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত প্রদীপ চৌহানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তপনবাবুর মেয়ের। প্রায়ই নাকি ওই যুবক বাড়িতেও আসত। গতকাল মেয়ের সঙ্গে প্রদীপকে দেখে প্রতিবাদ করেন তপনবাবু। এরপরই তাঁকে খুন করে প্রদীপ।

গতকাল প্রদীপকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা প্রদীপ মাঝে-মাঝেই দুর্গাপুরে আসত। ভিড়িঙ্গি ও ফরিদপুর এলাকার মাঝে জাতীয় সড়কের মধ্যবর্তীস্থানে একটি হোটেলে থাকত সে। তপনবাবুর স্ত্রী নার্সের কাজ করতেন, তাই মাঝে মধ্যেই নাইট ডিউটি থাকায় বাড়িতে থাকতেন না তিনি। এদিকে তপনবাবু রাত আটটার পর ঘুমিয়ে পড়তেন। এদিকে মা ডিউটিতে চলে গেলেই নাকি ওই যুবককে বাড়িতে ডেকে নিত সে। ভোরবেলায় চলে যেত প্রদীপ। 

পুলিশ সূত্রে ২০১৭ সালের অক্টোবরে শেষবার প্রদীপ তপনবাবুর বাড়িতে আসেন। সেই সময় তপনবাবু প্রদীপের আসা-যাওয়ার খবর জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন। সেসময় পুলিশ নাকি তাকে আটকও করেছিল। ছাড়া পেয়ে উত্তরপ্রদেশে চলে যায় প্রদীপ। 

তপনবাবুর স্ত্রীর অভিযোগ, ওই যুবক প্রায়ই মেয়েকে হুমকি দিত। বলত ওর বাবা বা মাকে খুন করে দেবে। 

এদিকে পুলিশের কাছে প্রদীপবাবু জানায়, ২৪ অগাস্ট দুর্গাপুরে আসে সে। ওইদিন সুনন্দাদেবীর নাইট ডিউটি ছিল। ২৪ ও ২৫ অগাস্ট মেয়েটির সঙ্গে রাত কাটায় প্রদীপ। এরপর রবিবার(২৬ অগাস্ট)ও যায় সে। এদিকে ঘরে মেয়ের সঙ্গে প্রদীপকে দেখে ফেলেন তপনবাবু। চিৎকার করে ওঠেন তিনি। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এরপর তপনবাবুর পেয়ে ছুরি মারে প্রদীপ। 

পুলিশ সূত্রে খবর, এখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলা না গেলেও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রদীপের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেয়েটির। প্রদীপ ও মেয়েটিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবছে পুলিশ।